ঘরে বসে থাক রে তোরা
কাপুরুষের দল,
আমরা যারা যুদ্ধ-তাজি
মৃত্যু করব তল।
যুদ্ধ মোদের জীবন বিধান
যুদ্ধ একক দিশা;
এই শিখাতে জ্বলব নিজে
ঘুচব নিবিড় নিশা।
একে একে শুন্য আজি
সোনার দেউল-পুরী,
রক্তগৃধ্নু করল এসে
হৃৎকমলে চুরি!
অন্ধ কি তোর চক্ষুযুগল
ভেলকিবাজের মোহে?
দেখিস নে আজ বাইরে ভীষণ
ফুঁসছে কারা দ্রোহে!
খঞ্জ কি তুই? বল তবে ভাই,
হুড়কো কেন দ্বারে?
ভয়ের বাঁধন পরেই কি তোর
কাটবে অন্ধকারে?
ভায়ের-বোনের রক্তস্রোতে
টইটম্বুর এ দেশ;
এলাত বধূর করুণ বিলাপ
শুনছি অনিঃশেষ!
মাতৃভক্তি, ভ্রাতৃপ্রেমের
মিথ্যা বয়ান ছাড়ো,
লেজুড়বৃত্তির সুশীল তুমি-
সন্দেহ নেই কারো।
এই যদি তোর স্বদেশপ্রীতি
পিতৃভক্তি ওরে,
দেখব তোরে অন্তরিনে
কে অবরোধ করে।
স্বৈরজালের কীরূপ বিস্তার
খুঁজব দেশময়;
অভ্যুত্থানের অমোঘ তেজে
ছাই হবে নিশ্চয়।
মৃত্যুভয়ের গ্রন্থি ছিঁড়ে
আয় রে মুক্তিপাগল,
গণহত্যার বিচার বসাও
আমজনতা সকল।
আমার এই কবিতাটি দেশের আপামর মুক্তিপাগলের জন্য উৎসর্গিত হল। যাদের প্রত্যাশা আজকের স্বৈরশাসকের পতন। আর জীবনের মুক্তমঞ্চে দাঁড়িয়ে যারা উপভোগ করতে চায় গণতন্ত্রের নির্মল হাওয়া।



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

