রোদ থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য রোদচশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করা হয়। ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে রোদচশমা কাজ করে।রোদচশমা ফ্যাশন ও লাইফস্টাইলের একটি অংশ।তাই নিজেকে ফ্যাশনেবল করার জন্য অনেকে রোদচশমা ব্যবহার করে থাকেন। ফ্যাশন সচেতনদের এখন রোদচশমা ব্যবহার করতে রোদের প্রয়োজন হয় না, তারা সব ঋতুতেই রোদচশমা এখন ব্যবহার করে থাকেন। আর এই ফ্যাশন সচেতনের জন্যই বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও শপগুলো রোদচশমার কালেকশন নিয়ে সাজিয়ে বসে আছে। তবে রোদচশমা কেনার আগে সচেতন থাকতে হবে। কারণ সচেতন না থাকলে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
রোদচশমা কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
চোখের সুরক্ষা : সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও ধুলাবালি থেকে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রোদচশমা ক্রয় করুন। ইউভি ৪০০-এর লেবেলযুক্ত রোদচশমা চোখকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। সুতরাং কেনার আগে এটি নিশ্চিত করুন। এ ছাড়া পোলারাইজড লেন্সযুক্ত রোদচশমা সূর্যের কড়া আলো থেকে চোখ রক্ষা করে। তা ছাড়া এই লেন্সযুক্ত রোদচশমায় আশপাশের সবকিছু পরিষ্কার দেখা যায়। ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রেও এটি খুব কার্যকর।
চশমার ম্যাটেরিয়াল: রোদচশমা কেনার আগে অবশ্যই ম্যাটেরিয়াল দেখে নেবেন। না হলে ফ্রেমের কারণে চশমা পরে অস্বস্তিতে পড়তে পারেন। তাই হালকা ধরনের ফ্রেম বাছাই করুন, যা ক্যারি করা সহজ।
লেন্সের বিভিন্ন রং: ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চশমার লেন্সের বিভিন্ন রং বাছাই করতে পারেন। বাদামি, হলুদ, নীল, সবুজ, গোলাপি, ধূসর রংগুলো গ্ল্যামার হিসেবে পছন্দ করতে পারেন।
গড়ন অনুযায়ী ফ্রেম: মুখের গড়নের সঙ্গে মানানসই না হলে রোদচশমা আপনার চোখকে সুরক্ষিত রাখলেও আপনাকে স্টাইলিশ করে তুলবে না। মুখের আকার বড় হলে বড় ফ্রেম নিন। মুখের গড়ন ছোট হলে ছোট ফ্রেম নিন। একেবারে চোখের মাপে নয়, ওভারসাইজড রোদচশমা ভালো। এতে চোখের নিচে কালি পড়ে না, দ্রুত রিঙ্কল পরাও কিছুটা আটকানো যায়।
মান যাচাই: রোদচশমা কেনার আগে মান যাচাই করুন। কম দামে মানহীন চশমা না কেনাই ভালো। বিশেষ করে শিশুদের জন্য মেলার দোকান, ট্রেন, বাস থেকে রোদচশমা কিনবেন না।
পোশাকের মতো রোদচশমায়ও সারাবছর চলে ফ্যাশন আর ট্রেন্ড। তবে রোদচশমা ব্যবহারের বিশেষ কিছু নিয়ম আছে, যা সবার মেনে চলা উচিত। ঘরোয়া অনুষ্ঠান, মার্কেট, ইনডোর ইভেন্টে রোদচশমা খুলে রাখা সৌজন্যবোধের বহিঃপ্রকাশ। কারও সঙ্গে কথা বলার সময়ও এটি খুলে রেখে কথা বলুন। অফিসিয়াল কোনো কাজে একরঙা ফ্রেম ও গ্লাস ব্যবহার করুন। ঘোরাঘুরির জন্য ব্যবহার করুন মৌসুম উপযোগী ও স্টাইলিশ রোদচশমা। সব সময় চুলের সঙ্গে চশমা আটকে রাখা যথেষ্ট রুচিহীনতার পরিচয় দেয়। রোদচশমা সব সময়ই যে দামি হতে হবে, এমনটা নয়। তবে মানসম্মত রোদচশমা ব্যবহার করাই উত্তম।
রোদ চশমার যত্ন
রোদচশমা কেবল ব্যবহার করলেই হবে না, তার যত্নও নিতে হবে। সাধারণত চশমা ব্যবহারের পর পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে মুছে রাখলে ভালো। পানি দিয়েও মাঝেমধ্যে ধুয়ে নেয়া যেতে পারে। এছাড়া যাদের চোখে সমস্যা আছে তাদের জন্য রোদচশমা ব্যবহার খুব একটা জরুরি নয়। তবে ব্যবহার করতে চাইলে চোখের উপযোগী রোদচশমা বানিয়ে নেয়া যেতে পারে।
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রোদচশমা পাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে আরমানি, পুলিশ, ডিএনজি, রেবন, ওকলে, প্যারাডা ইত্যাদি ব্র্যান্ডগুলো পরিচিত। এগুলো কেনা যাবে ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। আবার সাধারণ ব্র্যান্ডের রোদচশমাও বাজারে পাবেন। এগুলো কিনতে পারবেন ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। সস্তা দামের চশমা আপনার চোখের ক্ষতি করতে পারে। সেজন্য চশমা কেনার ক্ষেত্রে নিজের মূল্যবান চোখের কথাও ভাবতে হবে। সতর্কতা হিসেবে সাধারণত নীল রঙের চশমা ব্যবহার না করাটাই ভালো। আর চোখের সমস্যা না থাকলে রাতের বেলা রোদচশমা পরে কারও হাসির পাত্র হবেন না। অন্যদিকে রোদচশমা পরে বা খালি চোখে সরাসরি সূর্যের দিকে না তাকানোই ভালো।
একুশে সংবাদ/ এস কে