প্রটিনের ভান্ডার মাংস প্রায় সবার কাছেই একটি পছন্দের খাবার। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় মাংস রাখাটাও সম্ভব নয়! তাই আপনি মাংস ছাড়াই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে কিছু বিকল্প খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
কারণ প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য দরকারি একটি পুষ্টি উপাদান। এটি পেশী তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও প্রোটিন জরুরি। কেননা প্রোটিনের অভাবে মাস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। আপনি তারিখ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় ভুলে যেতে পারেন।
এছাড়া প্রোটিন কম খেলে মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। ক্লান্তি ও অবসাদ আপনাকে গ্রাস করবে। তাই চলুন জেনে নিই মাংসের বিকল্প বা মাংস ছাড়াও প্রোটিন আছে যেসব খাবারে, সে সম্পর্কে-
বাদাম: বাদামে রয়েছে প্রোটিন, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, এল কার্নিটাইন, রাইবোফ্লাভিন ইত্যাদি। যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়া বাদাম উচ্চ খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলো কমাতে সাহায্য করে।
ডিম: ডিম প্রোটিনের ভালো একটি উৎস। এতে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, ফোলেট এবং কোলিন রয়েছে। এটি স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মনে রাখবেন, ডিমের সাদা অংশ প্রায় বিশুদ্ধ প্রোটিন এবং কুসুম খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্বাস্থ্যকর চর্বিসহ আরও অনেক পুষ্টি সরবরাহ করে।
দুধ: দুধ উচ্চমানের প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এতে প্রোটিন, ক্যাসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন রয়েছে। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
ডাল: মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ডাল সহায়তা করে। এতে আছে ফোরেট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ। যারা নিয়মিত ডাল খায় তাদের হৃদরোগ এবং ফ্যাটি লিভার রোগের মতো স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কম থাকে।
কুমড়োর বীজ: সব ভুলে যেতে থাকলে কুমড়োর বীজ খাওয়া শুরু করুন। এটি আপনার মস্তিষ্ক চাঙ্গা করতে সহয়তা করবে। কুমড়োর বীজ আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজের একটি দুর্দান্ত উৎস।
স্পিরুলিনা: মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে স্পিরুলিনা। চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কুইনোয়া: কুইনোয়া ফাইবার, ফোলেট, তামা, আয়রন এবং জিঙ্কসমৃদ্ধ এবং এতে অনেক শস্যের তুলনায় প্রোটিন বেশি। এটি মস্তিষ্কের পুষ্টি জোগায়।
একুশে সংবাদ/ডে.বা/না.স
আপনার মতামত লিখুন :