নারকেল তেল বা সর্ষের তেল নয়। মুখে মাখার জন্য ইদানীং বিভিন্ন ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারের চল হয়েছে। শুধু ত্বকের ধরন নয়, ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী আলাদা আলাদা তেল রয়েছে। কম বয়সিদের মধ্যে ব্রণ কমানোর জন্য ‘টি ট্রি অয়েল’ বেশ জনপ্রিয়। এর মধ্যে থাকা সক্রিয় যৌগগুলি র্যাশ, ব্রণ কমায়। ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করে।
স্পর্শকাতর ত্বকে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই টি ট্রি অয়েল। ত্বক বিশেষজ্ঞরাও টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। কিন্তু ম্যাজিকের মতো কাজ করছে বলে অনেকেরই এই তেল অতিরিক্ত ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা যায়।
তাতে ফল হিতে বিপরীত হয়। কিন্তু র্যাশ, ব্রণ কমাতে কোন অয়েলের উপর ভরসা করবেন তা হলে?
যদি ব্যবহার করতেই হয়, কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?
১) সরাসরি এই তেল ব্যবহার করবেন না। কোনও তেল, পানি বা টোনারের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
২) এই অয়েল মেখে মুখ ঘষবেন না।
৩) অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না।
৪) শরীরচর্চা করার আগে বা পরে এই তেল ব্যবহার করবেন না।
৫) ব্রণ চিকিৎসা চলাকালীন টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করবেন না।
টি ট্রি অয়েলের বদলে অন্য কিছু কি ব্যবহার করা যায়?
১) টি ট্রি অয়েল ব্যবহার না করে বদলে নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
২) ব্রণ সারাতে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল যৌগ সমৃদ্ধ হলুদের তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩) অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি যৌগে সমৃদ্ধ দারচিনির তেল বা রোজমেরির তেলও ব্যবহার করা যায়।
একুশে সংবাদ/আ/ সম