মহামারি করোনার জ্বালায় জীবন অতিষ্ট। তার ওপর আবার নতুন আতঙ্ক 'বার্ড ফ্লু'। ভারতের রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, কেরালা, মধ্যপ্রদেশে শয়ে শয়ে পায়রা, কাক, হাঁস, মুরগির মৃত্যু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত পাখিদের শরীরে এইচ৫এন১ ভাইরাস মিলেছে।চিকিৎসকদের মতে, বার্ড ফ্লু H5N1 ভাইরাসজনিত কারণে হয়। বার্ড ফ্লু যখন মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে তখন তা মারাত্মক হতে পারে। এই ভাইরাস মানুষের জন্যও প্রাণঘাতী হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, তাহলে কি মুরগির মাংস আর ডিম খাওয়া বন্ধ? হাঁস-মুরগির মাংস ও ডিম খেলে কি বার্ড ফ্লু হতে পারে? অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই ভয়ে মাংস আর ডিম খাওয়া প্রায় ত্যাগ করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় এই সমস্ত জিনিসের দামও কমেছে।
এনিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তাহলে দেখে নিন হু কী বলছে :
১. WHO-এর মতে, কাটা মুরগি না কেনাই ভাল।
২.মাংস রান্নার আগে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নিন।
৩.কাঁচা, আধ সিদ্ধ ডিম খাওয়া যাবে না।
৪.কাঁচা মাংস যে পাত্রে রাখবেন, সেই পাত্রে অন্যকিছু বা রান্না করা মাংস রাখবেন না।
৫.যে ছুরি বা বটি দিয়ে মাংস কাটবেন, সেই ছুরি দিয়ে সবজি বা অন্য কিছু কাটবেন না।
৬.কাঁচা মাংস বা ডিম যাতে তৈরি করা খাবারের সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, নাহলে সংক্রমণের ভয় থেকে যাবে।
৭.হাত ভাল করে ধুতে হবে। ডিমে হাত দেওয়ার পর ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।
৮.হাঁস-মুরগির মাংস বা ডিম বেশ ভালভাবে রান্না করে খেলে কোনও সমস্যা নেই। তবে রান্নার সময় তাপমাত্রা যেন অবশ্যই ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে না। মাংস যাতে কাঁচা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৯.পোলট্রিজাত পাখি হাতে নেওয়ার পর অন্তত ২০ সেকেন্ড গরম জলে হাত ধুয়ে তবেই রান্না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷
১০.বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, পোলট্রিজাত খাবার ভাল করে রান্না করে খেলে, বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কোনও ভয় নেই! তবে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
একুশে সংবাদ/বো.স/এস
আপনার মতামত লিখুন :