যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম ভোটাররা ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপকভাবে ভোট দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির প্রতি বাড়তে থাকা ক্ষোভের মধ্যেই এই প্রবণতা দেখা গেছে বলে একটি নতুন বুথফেরত জরিপের তথ্য থেকে জানা গেছে।
মার্কিন সংস্থা ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর)’ জরিপে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, নিউইয়র্কে নবনির্বাচিত মেয়র ও ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান মামদানিকে মুসলিম ভোটারদের ৯৭ শতাংশ সমর্থন দিয়েছেন। এ ছাড়া ভার্জিনিয়ার ডেমোক্রেটিক মুসলিম সিনেটর গাজালা হাশমি লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে নির্বাচনে মুসলিম ভোটের ৯৫ শতাংশ পেয়েছেন। মুসলিম ভোটাররা শুধু মুসলিম প্রার্থীদেরই নয়, বরং তুলনামূলকভাবে ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যপন্থি অমুসলিম প্রার্থীদেরও ব্যাপকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন মামাদানিকে।
গভর্নর নির্বাচনে জয়ী ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই নারী কংগ্রেস সদস্য ভার্জিনিয়ার অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার ও নিউজার্সির মিকি শেরিল মুসলিম ভোটারদের প্রায় ৮৫ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন।

এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ায় ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অনুকূল নতুন কংগ্রেশনাল মানচিত্র অনুমোদন করা ‘প্রস্তাব ৫০’ মুসলিম ভোটারদের ৯০ শতাংশের সমর্থন পেয়েছে। সিএআইআর জানিয়েছে, এ জরিপের জন্য তারা এক হাজার ৬২৬ মুসলিম ভোটারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মুহূর্ত পরই মার্কিন রাজনীতির উদীয়মান তারকা জোহরান মামদানি তাঁর পরবর্তী লড়াইয়ের দিকে নজর দেন। এ লড়াই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

রাজনীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ট্রাম্প আরও কাটছাঁট করতে পারেন। এতে নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের জীবনযাপনের খরচ কমাতে জোহরান যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলো পূরণের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক জুলিয়ান জেলিজার মনে করেন, নবনির্বাচিত মেয়রকে এখন নিজের পরিকল্পিত সব কাজ এগিয়ে নেওয়ার বদলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সামলানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এটা নগরের জন্য সমস্যা তৈরি করবে।
একুশে সংবাদ/এসআর



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

