ভারতের গুজরাটে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিমানে থাকা ২৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম নিউজ-১৮ এমনটি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি। তবে আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি শহরের বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটিতে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন।
দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে আহমেদাবাদ সিটি পুলিশের কমিশনার জিএস মালিক সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনাস্থলের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কারো বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। বিমানের আরোহীদের পাশাপাশি আবাসিক এলাকাতেও কিছু মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা নিরূপণ চলছে।”
দুর্ঘটনার কিছু ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, বিমানটি ওড়ার পর দিক পরিবর্তন করে নিচের দিকে নামতে থাকে। এরপর ধ্বংস হয়ে একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়।
বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ ও সাবেক পাইলট সৌরভ ভাটনাগর এনডিটিভিকে জানান, উড্ডয়নের সময় সম্ভবত একাধিক পাখির ধাক্কায় বিমানের উভয় ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে।
তার ভাষায়, “বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল ঠিকভাবে। কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ার উঠানোর আগেই সেটি নিচের দিকে নামা শুরু করে। সাধারণত এমনটা তখনই ঘটে যখন ইঞ্জিন সম্পূর্ণভাবে কাজ বন্ধ করে দেয় বা শক্তি হারায়।”
তিনি আরও জানান, “ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পাইলট ‘মে ডে’ কল দিয়েছিলেন, যার মানে তৎক্ষণাৎ জরুরি অবস্থা ছিল। বিমানের অবতরণ প্রচেষ্টা ছিল নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু ইঞ্জিনের ব্যর্থতায় সেটি সফল হয়নি।”
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে এখন তদন্ত চলছে।
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে