রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উড়োজাহাজটি কাসকি জেলার বিধ্বস্ত হয়। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্রের বরাত কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বার্তাউলা জানিয়েছেন, ‘উড়োজাহাজে মোট ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু সদস্য ছিল। পুরোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝে এটি বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
নেপালের সংবাদ মাধ্যম দ্য হিমালয়ান কাস্কী জেলার প্রধান জেলা কর্মকর্তা টেক বাহাদুর কেসির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি সেতি নদীর কাছাকাছি জায়গায় বিধ্বস্ত হয়য়। তিনি আরও জানান, উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল এক টুইট বার্তায় এই দুর্ঘটনার বিষয়ে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তিনি নেপালের সকল সরকারি সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয়দের উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
দেশটির কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তারা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জড়ো করেছেন। হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
পিটিআই জানিয়েছে, ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যেই ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নেপাল সরকার। সেই সঙ্গে দেশটিতে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ৫ জন ভারতীয় ছিলেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তাদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই পাঁচ ভারতীয় হলেন- অভিষেক কুশওয়াহা, বিশাল শর্মা, অনিলকুমার রাজভর, সোনু জ্যাসওয়াল এবং সঞ্জয় জ্যাসওয়াল। তবে তারা জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি সংবাদ মাধ্যমটি।
এ ছাড়া ৪ জন রাশিয়ান, ১ জন আইরিশ, ২ জন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ছিলেন বলে নেপাল বিমানবন্দরের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
হেলিকপ্টারে উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে। এসব ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে সে জায়গা অনেক আগুন ও ধোঁয়ায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
একুশে সংবাদ/এএফপি/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :