কাশ্মিরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে কাশ্মিরের আকাশে মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশের সামরিক বিমান। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের দাবি, বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভারতীয় বিমানবাহিনীর চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় এলাকা ত্যাগে বাধ্য হয়।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভি নিউজ ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মিরের আকাশে টহলরত ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানগুলোর উপস্থিতি শনাক্ত করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী (PAF)। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ওঠায় ভারতের রাফালগুলো পিছিয়ে যায়। তবে কোনো পক্ষই যুদ্ধবিমান দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেনি।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, পাকিস্তান সব সময় আকাশসীমা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত। ভারতীয় যুদ্ধবিমান শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়।
এদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, “বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে।” তিনি বলেন, পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হয়, যা ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে মনে করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ওই হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও এখনো কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। অপরদিকে, পাকিস্তান সব অভিযোগ অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক ফোনালাপে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে জানান, “ভারত যদি আগ্রাসন চালায়, পাকিস্তান তার সর্বশক্তি দিয়ে জবাব দেবে।”
এ ছাড়া পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে, তবে প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পথেও যেতে পারে।”
দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েন ও সামরিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহল এই উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে।
একুশে সংবাদ//ঢ.প//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :