বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সদ্য স্থাপিত স্ট্রোক সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে রক্ষা পেল কৃষকলীগ সভাপতি সমীর চন্দের প্রাণ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রোক সেন্টারে কৃষকলীগ সভাপতি সমীর চন্দ একিউট স্ট্রোক ম্যানেজমেন্টের চিকিৎসা নেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিউশনে কৃষকলীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় অস্স্থু হয়ে পড়েন। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদকে জানান। বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ দ্রুত সমীর চন্দকে বিএসএমএমইউর স্ট্রোক সেন্টারে নিয়ে আসতে বলেন। পাশাপাশি তিনি বিএসএমএমইউর স্ট্রোক সেন্টারের নিয়ে নিউরোলজি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী বলেন, একিউট স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশে নতুন শুরু হয়েছে। যদিও পৃথিবীতে এটি বেশ আগে আমেরিকায় শুরু হয়। একজন রোগী স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার পর সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে স্ট্রোত সেন্টারে আসলে চিকিৎসকরা তার সিটিস্ক্যান করার পর ঔষধ দেন। এ ঔষধ দেবার ফলে স্ট্রোকের জন্য যে পঙ্গুত্ব হয়ে যায়, একদিক দুর্বল হয়ে যায়, সেসব ঠিক হয়ে যায়। ফলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্রোক সেন্টার চালুর পরে কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দকে প্রথম রোগী হিসেবে চিকিৎসা দেবার সুযোগ পাই। সমীর চন্দ কৃষকলীগের অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে শরীর একদিকে দুর্বল অনুভব করেন । বিষয়টি আমাদের জানানো হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্থাপিত স্ট্রোক সেন্টারে নিয়ে আসার পরামর্শ দিই। সমীর চন্দ আধাঘণ্টার মধ্যে চলে আসেন। তাকে স্ট্রোক সেন্টারে ভর্তি করে সিটিস্ক্যান করে ঔষধ প্রয়োগ করি। ঔষধ প্রয়োগের ফলে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। কৃষকলীগ সভাপতি সমীর চন্দ প্রথম রোগী যাকে আমরা একিউট স্ট্রোক ম্যানেজমেন্টের আওতায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার আধা ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হই। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
একুশে সংবাদ/এসএম