এই শীতে কক্সবাজার বেড়াতে যাবার ইচ্ছে থাকলেও অনেকেরই সে ইচ্ছে পূরণ হয় না। এর কারণ অতিরিক্ত ভাড়া। সাধারণ বাসে করে কক্সবাজার যেতে ভাড়া গুণতে হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। চারজনের কোন পরিবারকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাতায়ত ভাড়াই গুণতে হবে ১২ হাজার টাকা। একারণে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের ইচ্ছে থাকলেও সাধ্য নেই কক্সবাজার ঘুরে দেখার।
সেই দিন এখন অতীত। এখন থেকে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ইচ্ছে করলেই পর্যটন নগরী কক্সবাজার ঘুরে আসতে পারবেন। আর সেই সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আর ডিসেম্বর মাস থেকে সাধারণ মানুষ তার সামর্থানুযায়ী কক্সবাজার ভ্রমন করতে পারবেন। ১ ডিসেম্বর থেকে নাম মাত্র তথা ১২৫ টাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবেন। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চালু হওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে একটা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
১ ডিসেম্বর ট্রেনে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে যাবেন জাহাঙ্গীর। সে কি তার উত্তেজনা। মাত্র দেড় হাজার টাকায় এসি চেয়ার কোচে কক্সবাজার! যেখানে বিলাসবহুল বাস ভাড়া আড়াই হাজার টাকা! তিনি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী না হলে কোন দিন ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ হতো কিনা সন্দেহ।

কেবল জাহাঙ্গীর নন, বহু মানুষের দীর্ঘ দিনের আকাঙ্খা পূরণ হচ্ছে শেখ হাসিনার হাত ধরে। সাধারণ মানুষের মুক্তি দূত শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের মানুষের উন্নত ও স্বাচ্ছন্দ জীবনযাত্রার দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে। আগামী প্রজন্মের চলার পথকে সুগম করতে বহু প্রকল্প করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একারণে সাধারণ মানুষ তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
সদ্য উদ্বোধন হওয়া ঢাকা-কক্সবাজার রুটটির ভাড়া প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়। ভাড়ার তালিকায় সর্বনিম্ন ১২৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭২৫ টাকায় ভ্রমণ করা যাবে সাগরিকায়।

গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের নান্দনিক রেলস্টেশন এবং দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হলো কক্সবাজার।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পরবর্তীতে দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

