AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আবার সংকটে মনিপুর স্কুল, আন্দোলনে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৩:০৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৩
আবার সংকটে মনিপুর স্কুল, আন্দোলনে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা

উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকার মনোনীত প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় ফের সংকটের মুখে পড়েছে রাজধানীর অন্যতম বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ। দাবি আদায়ে ক্লাস ফেলে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা।  

 

বুধবার (১৭ মে) স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডি সহকারী শিক্ষক মো. আখলাক আহমেদকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষকেরা।

 

শিক্ষকরা বলছেন, উচ্চ আদালত এবং মাউশির নির্দেশে দায়িত্ব পাওয়া মো. জাকির হোসেনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। তাকে বহাল করা না হলে তাদের কর্মবিরতি পালন করে যাবেন।

 

এদিকে গভর্নিং বডির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে সব শাখার শিক্ষকেরা মূল বালিকা শাখায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। অন্যদিকে গভর্নিং বডির লোকজন স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে মনিপুরে জড়ো করেছেন। ফলে ওই এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

 

মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে বালিকা শাখায় উপস্থিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, তিল তিল করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। আমার প্রতিষ্ঠানে কোনো জামায়াত-শিবিরের লোক থাকবে না, স্বাধীনতাবিরোধী লোক থাকবে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনকে সরিয়ে আখলাক আহমদকে দায়িত্ব দেওয়ার কথাও জানান তিনি। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে আখলাক আহম্মদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার একদিনের মাথায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার তা প্রত্যাহার করেন।

 

তিনি বলেন, আমি চাই এই প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা অব্যাহত থাকুক। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলন এবং শিক্ষার স্বার্থে আমি ইস্তফা দিয়েছিলাম। তবে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এবং শিক্ষকদের একাংশের দাবির মুখে আমি দায়িত্ব থেকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করেছে। শিক্ষকরা চাইলে আমি এখানে দায়িত্ব পালন করব।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান অস্থায়ী পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আগে থেকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসা মো. জাকির হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এ কমিটির মেয়াদ একেবারে শেষ পর্যায়ে। এমন অবস্থার মধ্যে কমিটির সভাপতি এ কে এম দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে গতকাল বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে জাকির হোসেনকে অব্যাহতি ও আখলাক আহম্মদ নামে আরেক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

 

এরপর আজ ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যান এবং আখলাক আহমেদকে সরিয়ে জাকির হোসেনকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে বহাল রাখার দাবি জানান।

 

মনিপুর স্কুলের প্রশাসনিক সমন্বয়ক মো. রাশেদ কাঞ্চন বলেন, জাকির হোসেনের নিয়োগ বৈধ। তিনি মন্ত্রী বা কমিটির নিয়োগকৃত নন। উচ্চ আদালত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছেন। করোনাকালে বেতন কমিয়ে শিক্ষকদের মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়েছেন। শিক্ষকদের জন্য টিউশন ফি, আইডি কার্ড অনেক কিছু করেছেন।

 

মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষক বলেন, ভুয়া ভাউচারে স্বাক্ষর করেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন। তার অবস্থান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এজন্যই তাকে সরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কমিটির লোকজন।

 

একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহাঙ্গীর

Link copied!