বাংলাদেশে বছরে ৯০ লাখ মেট্রিক টন আলুর চাহিদা বিপরীতে ১ কোটি ১১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। বাড়তি উৎপাদনের পরও আলুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনের কারসাজির হিসাব মেলালো যাচ্ছে না। কৃষি বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছিলেন বগুড়ার কৃষকরা। সেই আলু হিমাগারে রাখার খরচের পরও আড়তদারদের কেজি প্রতি দাম দাঁড়ায় ২২ টাকা। অথচ খুচরা বাজারে ৪০ টাকার নিচে কোনো আলুই কিনতে পারছে না ক্রেতা। মাঠ পর্যায়ের খুচরা বাজারে আলুর দামের বিষয়ে কিছুই জানে না কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, গত মওসুমে বগুড়ার ১২ উপজেলায় ৫৩ হাজার দুইশ` ১৫ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছিল ১২ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। সে সময় জমি থেকে ফলন তুলে মহাজন ও আড়তদারদের কাছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেন চাষিরা।
কৃষকের কাছ থেকে স্বল্প দামে কেনা আলু হিমাগারে সংরক্ষণের পর সেই আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। এ বছর বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খরচ বেড়েছে এমন দাবি করে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বক্তব্য হচ্ছে, হিমাগারে রাখার খরচসহ আলুর দাম পড়ে ২২ টাকা। সরকার নির্ধারিত ২৭ টাকা কেজি আলু বিক্রি করলে আড়তদারদের লোকসান হবে না।
বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি মাহফুজুল ইসলাম রাজ বলেন, স্বার্থান্বেষী ও মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য এবং শেষ সময়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য কিছু মানুষ সম্পৃক্ত থাকতে পারে।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :