AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পিয়াজের কেজি সেঞ্চুরির পথে


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৪:৪১ পিএম, ২০ মে, ২০২৩
পিয়াজের কেজি সেঞ্চুরির পথে

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম আরও বেড়েছে। এ সময়ে খুচরায় প্রতি কেজি পিয়াজ ১২ থেকে ১৫ টাকা এবং পাইকারিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আকারে তুলনামূলক ছোট ও ক্রস জাতের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০-৯০ টাকায় এবং দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা দরে। পিয়াজের দাম এক মাসে বেড়ে গেছে দ্বিগুণের বেশি। 

 

এভাবে দাম বাড়তে থাকলে পিয়াজের দাম ১০০ টাকা অতিক্রম করতে পারে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ। তাদের মতে, কিছুদিন আগেও ৩ কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। কিন্তু এখন সেই দামে পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি। খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভারত থেকে পিয়াজ আমদানির হুমকি দেয়ার পরও দাম কমছে না। এতে বিপদে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গতকাল বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

 

এদিকে শুক্রবার রংপুরে ব্যবসায়ীদের দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এই সময়ের মধ্যে পিয়াজের দাম না কমলে আমদানি করবে সরকার।

 

ভরা মৌসুমে পিয়াজের দাম এত বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানান তিনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিশেষ করে কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটি আমার দায়িত্বে নেই। কাঁচাবাজারের সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না, অন্য মন্ত্রণালয় রয়েছে। তবে শুধু পিয়াজ এবং চিনি নিয়ে একটু ঝামেলা চলছে। এটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার এবং পাড়া-মহল্লার দোকানে দেখা গেছে, দু’দিন আগের প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ খুচরায় বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকার উপরে। এক সপ্তাহ আগেও ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাইকারিতে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পিয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায়।

 

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবি’র তথ্য মতে, এক মাসে পিয়াজের দাম বেড়েছে ১২১.৪৩ শতাংশ। গত বছর এই সময় বাজারে পিয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় অর্থাৎ এক বছরে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৭৬.১৪ শতাংশ।

 

শ্যামবাজারের পাইকারি পিয়াজ ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, দেশি পিয়াজ মানভেদে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বুধবার ছিল ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা। আর এক সপ্তাহ আগে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তার দাবি, সরকার দ্রুত পিয়াজ আমদানির অনুমোদন দিলে দাম কেজিতে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমে যাবে।

 

এক মাস আগে অর্থাৎ ঈদের আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। গত ১৫ দিন আগেও দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পিয়াজের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। অথচ শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পিয়াজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্চ থেকে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ আছে, ফলে দাম বেড়েছে।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর পিয়াজের উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টন। নানা কারণে প্রায় ৩৫ শতাংশের মতো পিয়াজ নষ্ট হলেও বর্তমানে মজুত আছে প্রায় ১৮ লাখ টন। সে হিসেবে পিয়াজের সংকট হওয়ার কথা নয়, তবুও এক মাসের ব্যবধানে বাজারে পিয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে কেজিতে ৮০ টাকায় ঠেকেছে।

 

কাপ্তান বাজারে কথা হয় করিম হোসেন বলেন, রোজার আগে পিয়াজ কিনেছি ৩০ টাকায়, এখন কিনলাম ৮৫ টাকা কেজি।  চার দিন আগে কিনেছি ৭০ টাকা কেজিতে। দাম বেড়েই চলছে। বাজারে আসা আরেক ব্যক্তি বলেন, ৮০ টাকার নিচে বাজারে পিয়াজ নেই।

 

পিয়াজ বিক্রেতা হোসেন মিয়া বলেন, এখন পিয়াজের দাম কিছুটা বেশি। ইন্ডিয়া থেকে পিয়াজ আসছে না, তাই এখন বাড়তি আছে।

 

এদিকে পিয়াজের দাম কমাতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারকে পাঠানো চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলা হয়,  পিয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

 

একুশে সংবাদ/আজ/এসএপি

Link copied!