AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
বর্ণাঢ্য এক জীবনের সমাপ্তি

বাবুগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সুজন সভাপতি খালেদা ওহাবের ইন্তেকাল



বাবুগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সুজন সভাপতি খালেদা ওহাবের ইন্তেকাল

বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সুজন—সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি খালেদা ওহাব (৫৭) আর নেই। স্ট্রোকজনিত কারণে বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে ঢাকার বনশ্রী এলাকার ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলার কৃষি বিপ্লবের রূপকার, প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার শহীদ আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী।

গত মঙ্গলবার খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পি এফ জি) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শান্তি সহায়ক সম্মেলনে’ যোগ দিতে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে রামপুরা এলাকায় ছোট বোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে রাত ৪টার দিকে তিনি মারা যান। চিকিৎসকরা জানান, তিনি স্ট্রোকজনিত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব ১৯৮৯ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি একাধিকবার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন। সুজন কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও তিনি পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর এবং ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাজুড়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

বাবুগঞ্জের সুজন কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। নারীর অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উপজেলা মহিলা সংস্থার একাধিকবার নির্বাচিত সভানেত্রী হিসেবে নারীমুক্তি আন্দোলন ও নারীর ক্ষমতায়নে তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।

তার মৃত্যুতে বর্ণাঢ্য এক কর্মময় জীবনের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো। আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

Link copied!