শীতের আগমন বার্তা এলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেপ-তোষক কারিগররা। বছরের অন্য সময় কাজের চাপ কম থাকায় তারা অনেকটা অলস সময় পার করেন। অগ্রহায়ণ মাসে শীতের পূর্বাভাস পেলে তারা পূর্ণদমে দোকান খুলে বসেন। লেপ-তোষকের কাপড় ও তুলার পসরা নিয়ে শুরু হয় লেপ-তোষক তৈরির কাজ।
শীত জেঁকে বসার আগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়ে। ক্রেতারা দোকানগুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। ফলে কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় বরাবরই শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। এবারও আগেভাগেই শীত শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই মানুষ গায়ে জড়াচ্ছেন গরম কাপড়। ফলে শীত নিবারণে উপজেলার মানুষের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলা শহরের ছোট-বড় লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে মালিক ও শ্রমিকরা তুলা ধুনা এবং লেপ-তোষক সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। অনেকে লেপ তৈরির অর্ডারও দিচ্ছেন।
ধনক কারিগর আজিবর রহমান বলেন, “দিন যতই গড়াচ্ছে, শীতের তীব্রতা ততই বেড়ে যাওয়ার কারণে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নতুন লেপ তৈরি করছে। বছরের অন্যান্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীতের মৌসুমে বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০টি লেপ তৈরির অর্ডার পাচ্ছি।”
জীবননগর পৌর শহরের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী জহুরুল হক বলেন, “এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রচুর লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার পাচ্ছি। কাজ সামাল দিতে অতিরিক্ত কারিগর রেখেছি। চেষ্টা করছি, সঠিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে পারবো। অর্ডারের পাশাপাশি কিছু লেপ, বালিশ ও তোষক আগেই তৈরি করেছি। ক্রেতাদের কাছে এসব রেডিমেড হিসেবে বিক্রি করি।”
তিনি আরও জানান, মজুরি হিসেবে বালিশ প্রতি পিস ৫০ টাকা, লেপ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, তোষক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় নেওয়া হচ্ছে। কারিগর মিজানুর রহমান বলেন, “কাজের চাপ বাড়ায় আমাদেরও চাহিদা বেড়ে গেছে। এখন প্রতিদিন এক হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছি। শীতের তীব্রতা বাড়লে কাজের চাপ আরও বাড়বে, তখন মজুরিও বৃদ্ধি পাবে।”
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

