মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন, বিএনপির রাজনীতি করার কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তাকে অপহরণ ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়েছে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে আওয়ামী দোসর হিসেবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় সদর ইউনিয়নের বাঘমারায় নিজের এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মতিন।
লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য মতিন বলেন, “আমি কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের টানা তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে যুবদল ও বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী। বিএনপির রাজনীতি করার কারণে মারধরের শিকার হতে হয়েছে এবং আওয়ামী শাসনামলে মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমার নামে রাজনৈতিক মামলা করা হয়। ২০০৯ সালে ভানুগাছ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা আমাকে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে রেললাইনের পাশে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে দেয়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।”
তিনি আরও জানান, “২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাতধারীরা মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে আমার হাতের নক তুলে ফেলে এবং ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভেঙে চুরমার করা হয়। আমাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। আমি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে দেড় মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরি। পরে মামলা করলেও আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউপি সদস্য হওয়ায় আমার এলাকায় কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে দেয়নি।”
মতিন বলেন, “আওয়ামী শাসনামলে জীবন রক্ষার জন্য আমাকে আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। কয়েকজন নেতা আমার গলায় মালা দিয়েছেন। কিন্তু আমি আমার আদর্শ থেকে পিছপা হইনি। বর্তমানে একটি কুচক্রী মহল ভুয়া আইডি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে তরুণলীগ বলে প্রচার করছে। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এটি পরিচালিত হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, “অভিযোগ না থাকলে পুলিশ কাউকে হয়রানি করে না। আমরা সব সময় সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করি।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

