আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মুকসুদপুর-কাশিয়ানী তৃণমূল রাজনীতিতে উচ্ছ্বাসের সঞ্চার হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শুরু হয় অভিনন্দনের বন্যা।
দীর্ঘদিন ধরে মুকসুদপুর-কাশিয়ানী এলাকায় বিএনপির রাজনীতিকে সক্রিয় রাখার পেছনে অন্যতম সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন সেলিমুজ্জামান সেলিম। দলের দুঃসময় থেকে আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিটি পর্বে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ফলে মনোনয়ন ঘোষণার পর স্থানীয় নেতাকর্মীদের মুখে এখন একটাই কথা— “দলের সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি। এই মনোনয়ন শুধু আমার নয়, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীর প্রতিটি নেতাকর্মীর সম্মানের প্রতীক।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে আমি আমার শেষ শক্তি নিয়োগ করব। মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর মানুষ পরিবর্তন চায়— সেই পরিবর্তনের অঙ্গীকারেই মাঠে নামব।”
মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়ে শুরু হয়েছে ব্যস্ততা। একাধিক নেতা জানিয়েছেন, “এবার মুকসুদপুর-কাশিয়ানীতে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হবে। জনগণ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেলিমুজ্জামান সেলিমের মাঠপর্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বিএনপিকে নতুন করে আত্মবিশ্বাসী করছে। এখন দেখার বিষয়— নির্বাচনের মাঠে তিনি কতটা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

