AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাদুল্লাপুরে বৃদ্ধা ধর্ষণ মামলার আসামী ঢাকায় গ্রেফতার



সাদুল্লাপুরে বৃদ্ধা ধর্ষণ মামলার আসামী ঢাকায় গ্রেফতার

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আলোচিত বৃদ্ধা নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলার আসামী আইয়ুব আলী (৪২)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আইয়ুব আলী উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব আহমেদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনার পরপরই আইয়ুব আলী রাতের আঁধারে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ওই রাতেই তাকে পুলিশ ভ্যানে সাদুল্লাপুরে আনা হয়। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে একটি ফাঁকা মাঠে ছাগল খাওয়াতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। এ সময় তার হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে আইয়ুব আলী। স্থানীয়রা ঘটনাটি জানার পর মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ধর্ষিতার ছেলে বাদী হয়ে সাদুল্লাপুর থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসি ফুঁসে ওঠে। ধর্ষক আইয়ুব আলীকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ধাপেরহাট বন্দরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামী গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে হুশিয়ারি দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব আহমেদ আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশের প্রচেষ্টায় আশ্বাসের আগেই আইয়ুব আলী গ্রেফতার হয়।

জানা গেছে, ঘটনার দুই দিন পর আইয়ুব আলীর পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ধর্ষণের শিকার বৃদ্ধার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এতে ভুক্তভোগির ছেলের স্ত্রীসহ কয়েকজন আহত হন। পুলিশ ওই ঘটনায় ধর্ষক আইয়ুব আলীর স্ত্রী মিনারা বেগম, ছেলে মিজানুর রহমান, মেহেদী হাসানসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। পরে এ ঘটনায় আরেকটি পৃথক মামলা দায়ের হয় এবং আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

সত্তরর্ধ্ব বৃদ্ধা নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় গোটা জেলায় তীব্র নিন্দা ও ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করে। বিভিন্ন সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!