ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র ও সাধারণ জনতা। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভৈরব বাজারের লঞ্চ ও কার্গো ঘাটে তারা এই কর্মসূচি পালন করে। এ সময় এক ঘণ্টা নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। লঞ্চ, কার্গো ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখেন আন্দোলনকারীরা।
অবরোধ চলাকালে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির নেতা মাওলানা সাইফুর রহমান শাহরিয়ার, জোনায়েত আলম এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজলসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করেন।
বক্তারা বলেন, “ভৈরবকে জেলা ঘোষণা না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।” তারা আরও বলেন, “গতকাল সোমবার রেলস্টেশনে শান্তিপূর্ণ অবরোধ চলাকালে স্টেশনমাস্টার ও ট্রেনচালকের ভুলের কারণে কয়েকজন লোক ট্রেনের ইঞ্জিনে পাথর নিক্ষেপ করলেও তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি। ছাত্র-জনতা রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ট্রেনচালক হর্ণ বাজিয়ে ট্রেন চালাতে চাইলে জনতা উত্তেজিত হয়ে ঘটনাটি ঘটে।”
আজকের নৌপথ অবরোধ শেষে বেলা ১১টায় আন্দোলনকারীরা পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তারা বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, “সোমবারের ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় রাতে স্টেশনমাস্টার ভৈরব রেলওয়ে থানায় ১০০–১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। আমরা ওই মামলাকে ভয় পাই না। যদি এই মামলায় কোনো আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়, আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে নামব।”
পরে সকাল সাড়ে ১১টায় নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শেষ হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ-থানার ইনচার্জ মো. রাশিদুজ্জামান বলেন, “আজ ভৈরব জেলা ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। আমি ও পুলিশের সদস্যরা নদীর ঘাটে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এইচ এম আজিমুল হক উপস্থিত ছিলেন। ছাত্র-জনতা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে চলে যান।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

