জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দকৃত চাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে জব্দকৃত ১ হাজার ৮৬০ কেজি চাল এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চালগুলো তিনটি এতিমখানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বড়তারা ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত। অভিযানে অবৈধভাবে মজুত ও ক্রয়-বিক্রয়কৃত চাল জব্দ করা হয় এবং অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জব্দকৃত চালগুলো পরে ক্ষেতলাল থানায় নিরাপদে সংরক্ষণে রাখা হয়।
পরে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই চাল এতিম শিশুদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ক্ষেতলাল থানা প্রাঙ্গণ থেকে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়ে যথাযথ নিয়মে তিনটি স্থানীয় মাদ্রাসাভিত্তিক এতিমখানায় বিতরণ সম্পন্ন হয়।
চালগুলো যথাক্রমে—মামুদপুর দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ৬৬০ কেজি,পুটিমারি দারুস সুন্নাহ নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ৬০০ কেজি, ধনকুড়াইল হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ৬০০ কেজি করে বিতরণ করা হয়।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, “খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কেউ যেন অপব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। জব্দকৃত চাল এতিম শিশুদের মাঝে বিতরণ করতে পেরে ভালো লাগছে। ভবিষ্যতেও এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।”
চাল বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হুমায়ুন কবির, মামুদপুর মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মো. আইয়ুব আলী, হাফেজ আজিজ, তোফাজ্জল হোসেনসহ আরও অনেকে।
একদিকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অপব্যবহার রোধে প্রশাসনের সক্রিয়তা যেমন প্রমাণিত হয়েছে, অন্যদিকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় একটি মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে