বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সুদূর রাজনগরের এক সম্ভ্রান্ত শিক্ষক পরিবারের কোলে জন্ম নেয় এক আলোকিত সত্তা কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন অদম্য মেধাবী, অসাধারণ প্রতিভা ও অগাধ স্বপ্নে উজ্জীবিত। সময়ের পরিক্রমায় শিক্ষা জীবন থেকে রাজনীতির ময়দানে পদার্পণ করে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির এক আস্থাভাজন সৈনিক এবং রাজপথের দুর্বার লড়াকু নেতা।
বিএনপি`র সাবেক চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহময় সান্নিধ্য লালিত,তিনি ছাত্র রাজনীতিতে উজ্জ্বল নক্ষত্র। বিএনপি`র সহ প্রচার সম্পাদক এবং সহোদপ্তর সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে তিনি সংগঠনের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রাজনীতির ময়দানে তিনি জীবন সংগ্রামী সৈনিক তেমন জনতার হৃদয়ে জয় করা সুকন্ঠ বক্তা। তার ৩৯ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রায় তিনি সহ্য করেছেন বারবার কারাবরণ, রিমান্ডে লাগামহিন নির্যাতন নিপীড়ন, রাজপথে রক্তাক্ত অবস্থায় বারবার গুলিবিদ্ধ, তার ত্যাগের মানসিকতা রাজনৈতিক সততা এবং নিঃস্বার্থ বিশ্বাসের কারণে আজ তিনি লাখো মানুষের হৃদয় বাস করছেন।
কৃষিবিদ শামীমের প্রতিটি অধ্যায় রাজপথে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি বন্ধ। বিগত ১৭ বছরে রাজনৈতিক সংগ্রামে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্মমতা তাকে তার প্রিয়তমা স্ত্রীর মৃত্যু শয্যায় কিংবা প্রিয় খালা ও আপন বড় ভাইয়ের জানাজায় প্যারোলো মুক্তি দেয়নি। শত মিথ্যা মামলা হামলা আর রিমান্ডে সীমাহীন নির্যাতন সত্ত্বেও তিনি পিছপা হননি।শোষণ বঞ্চনা ও বাধা বিপত্তিজনতার আদর্শিক লড়াইকে আরও শাণিত করেছে।
তিনি বাগেরহাট -৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের মাটি ও মানুষের নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।
জানা যায়, বিএনপি`র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক,জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর ডিরেক্টর আরাফাত রহমান কোকো ক্রিয়া সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (মোংলা রামপালে) অনেক জনকল্যাণকর কাজ করেছেন। গড়ে তুলেছেন বেশ কিছু মসজিদ। উদার হস্তে দান করেছেন মাদ্রাসা, কবরস্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে,অসহায় ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান,গরিব কৃষকের মাঝে ধান বিতরণ, বিএনপি নেতাকর্মীসহ এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন সব সময়।
দেশের অন্যান্য এলাকায় বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান এই নেতা (রামপাল মোংলার)নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন তার বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে। যার ফলে বাগেরহাট-৩ আসনের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। নেতাকর্মীরা তাকে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন।
রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, `এতদিন বিএনপির নেতৃত্ব সংকটে ভুগছিল বাগেরহাট -৩ আসন। কৃষিবিদ শামীমুর রহমানের যোগ্য নেতৃত্ব দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছে। রামপাল উপজেলার নেতাকর্মীরা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।` কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের যোগ্য নেতৃত্বে সামনে ভালো কিছু হবে বলে আশা করেন তিনি।
মোংলা উপজেলা বিএনপি`র সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, ‘(রামপাল- মোংলা) উপজেলায় বিএনপির রাজনীতিতে একজন যোগ্য নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম ভাই। দুই উপজেলার সকল বিএনপি নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের অকুন্ঠ সমর্থন আছে এই নেতার প্রতি। এই নেতার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছে বিএনপি`র সকল নেতাকর্মীরা।’
মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ জানান, বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছসেবক দলসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে রামপাল মোংলায় কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিতভাবে অংশ নেন। পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে তিনি এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ করেন।
মোংলা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব,নুরুদ্দিন টুটুল জানান, প্রতিটি দলীয় প্রোগ্রামে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম ভাই এর সহযোগিতা দলকে এগিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় ভোটাররা জানান,বাগেরহাট-৩ আসন একটি শিল্প জনপদ। যেখানে তারা খুব একটা উন্নয়নের ছোঁয়া পান না। বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিভিন্ন কর্মকান্ডে ইতোমধ্যেই তাদের মনে আসার সঞ্চার হয়েছে। তারা মনে করছেন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বাগেরহাট -৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এই জনপদ আর অবহেলিত থাকবে না। যে কারণে এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি।
কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম আমার দেশকে জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলকে সু-সংগঠিত করতে যেমন আদর্শবান, সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের খুঁজছেন, নিজেকে তেমন নেতৃত্বের কাতারে নিয়ে যেতে চান তিনি। কৃষিবিদ শামীম বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও তাদের পরিবারের বিপদ-আপদে আমাকে সবসময় কাছে পান। এলাকার মানুষের সকল সুযোগ-সুবিধা আদায়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে কাজ করব।’
তিনি আরও জানান, দলের অনেক কর্মী ও নেতা আজ খুনি হাসিনার মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে কেউ পালিয়ে, আবার কেউ জেলে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। ইতোপুর্বে তাদের পরিবারের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি।
কৃষিবিদ শামীমুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে মোংলা- রামপাল দলের হয়ে কাজ করে আসছি। দলীয় প্রায় সব আয়োজনে অংশগ্রহণ করছি। আগামীতে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে এলাকার দলীয় রাজনীতি আরও এগিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমাকে সুযোগ করে দিলে সারাজীবন এলাকাবাসীর কল্যানে ভালো কিছু দিতে পারব।’
একুশে সংবাদ/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
