ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে ইমাম, খতিব ও ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা মসজিদের মিম্বার ও মাদরাসার ক্লাস থেকে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে মানুষকে ন্যায়পরায়ণতা, সততা, দায়িত্বশীলতা এবং পারস্পরিক অধিকার আদায়ের শিক্ষা দিতে পারেন।
সমাজে অন্যায়, দুর্নীতি, মিথ্যা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা এবং ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেওয়া তাদের অন্যতম দায়িত্ব। এজন্য আলেম সমাজকে নিজেদের জ্ঞান, আমল ও চরিত্রে আদর্শ স্থাপন করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ তাদের অনুসরণ করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসে।
এ কথা বলেন নেজামে ইসলাম পার্টি থেকে মনোনীত চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী আল্লামা শেখ হুসাইন মুহাম্মদ শাহজাহান ইসলামাবাদী। তিনি বৃহস্পতিবার দাঁতমারা রাবার বাগান মাদরাসার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামের করণীয়” শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার পরিচালক মাওলানা কারি আবু সাঈদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে সংস্থার সভাপতি মুফতি আবু তাহের আল মাদানী বলেন, সমাজে সত্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হলে ওলামায়ে কেরামকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা ও জামিয়া ইসলামিয়া ভূজপুরের মহাপরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বিন জালাল তার বক্তব্যে বলেন, “আলেম সমাজ যদি আদর্শ জীবনযাপন করে তবে সাধারণ মানুষ সহজেই ইসলামের শিক্ষার প্রতি অনুরাগী হবে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।”
সংস্থার মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান আলমপুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ও সমাজসেবক একরামুল হক একরাম।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুফতি নোমান, সাংবাদিক মাওলানা আজগর সালেহী, মাওলানা এরশাদ বিন জালাল, মুফতি আলাউদ্দিন নূরী, মাওলানা ইমাম উদ্দিন আজিজী, মুফতি মোহাম্মদ ইছহাক, মাওলানা এম. নিজাম উদ্দিন, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ দিদু, মুফতি মোহাম্মদ ইউছুফ, মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুছ, মাওলানা তাজুল, মাওলানা ইসলাম ইউছুফ মেখলী ও ছাত্রনেতা মাওলানা তারেকুল ইসলাম প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

