গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বুলু ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি এইচ. এম. মেহেদী হাসনাতের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাংবাদিকরা।
কোটালীপাড়া উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে হাতে হাত ধরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন সাংবাদিকরা। কর্মসূচিতে গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরাও একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মানববন্ধন চলাকালে কোটালীপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের প্রতিনিধি এইচ. এম. মেহেদী হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহত সাংবাদিক ও কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বুলু, সাংবাদিক রতন সেন কংকন, এফ. এম. মাহবুব সুলতান, প্রমথ রঞ্জন সরকার, কাজী পলাশ, রনি আহম্মেদ ও সমীর রায়। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমান বুলু বলেন, “গত ১০ আগস্ট কালের কণ্ঠ অনলাইনে কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মো. বাহাউদ্দিন দাড়িয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কোটালীপাড়া পৌর মার্কেটের বড় ব্রিজ এলাকায় আমাকে ও যুগান্তরের প্রতিনিধি মেহেদী হাসনাতকে আটকে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার সঙ্গে সরকারি কর্মচারী বাহাউদ্দিন দাড়িয়া ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ— দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক।”
কোটালীপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ. এম. মেহেদী হাসনাত বলেন, “দেশে একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোটালীপাড়ায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা হলো। এ ঘটনায় এক সরকারি কর্মচারী ও বিএনপির নেতারা জড়িত রয়েছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আসামিদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন এক ঘণ্টা করে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি পালন করা হবে। এর মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে, এ ঘটনার পর আহত দুই সাংবাদিকের শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। এ সময় তারা দুই সাংবাদিকের পাশে থাকার ঘোষণা দেন। অপরদিকে, এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে গোপালগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
একুশে সংবাদ/গো.প্র/এ.জে