টানা বর্ষণে কোটচাঁদপুর উপজেলার খাল, বিল, ডোবা, পুকুর ও নদী-নালা প্লাবিত হয়ে অধিকাংশ আবাদযোগ্য জমি পানির নিচে চলে গেছে। এতে আক্রান্ত হয়েছে উপজেলার প্রায় আড়াইশ হেক্টর জমির ফসল, যার মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুরে মোট ১২ হাজার ৮০৮ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে চলমান বর্ষণে আড়াইশ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে—
আমন বীজতলা: ৩০৭ হেক্টরের মধ্যে ৩ হেক্টর
আমন ধান: ৬,০৮৬ হেক্টরের মধ্যে ৪ হেক্টর
মরিচ: ৩০০ হেক্টরের মধ্যে ২০ হেক্টর
সবজি: ১,৬৮৪ হেক্টরের মধ্যে ৬ হেক্টর
রোপা আউশ: ৫,৩০০ হেক্টরের মধ্যে ১৩ হেক্টর
ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি অফিস ইতোমধ্যে চাষিদের স্বল্প জীবনকালীন ধান জাত বীনা-৭ এর বীজতলা তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছে, যাতে পানি নেমে গেলে দ্রুত চারা রোপণ করা যায়। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
আলুকদিয়া গ্রামের চাষি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “রাস্তার দুই পাশের জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু দুই মাসের টানা বর্ষণে জমি তলিয়ে সব নষ্ট হয়ে গেছে। পানি নেমে গেলেও এবার আর চাষ করা সম্ভব নয়, কারণ চারা নেই। এতে আমাদের মাঠের প্রায় দুই-তিন শত বিঘা জমি পতিত থাকবে।”
জয়দিয়া গ্রামের খায়রুল ইসলাম বলেন, “অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ঝাল, পেপে, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি নষ্ট হয়েছে। নিচের জমিগুলোর ধানও নষ্ট হয়ে গেছে, যা এ বছর আর হবে না।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য স্বল্প জীবনকালীন ধান জাত বীনা-৭ এর বীজতলা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রণোদনা এলে তা ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে