অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে ১৩ বছর বয়সী কাজী মোর্শেদ কাব্য। সে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। পিতা মরহুম কাজী রুমেল, মাতা রোমেলা আহসান। কাব্যের বাবা ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছা ছিল ছেলে কাব্য যেন বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়। সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
মৃত স্বামীর সেই স্বপ্ন বুকে লালন করে কাব্যকে ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি করান মা রোমেলা আহসান। বর্তমানে কাব্য প্রতিষ্ঠানটির সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কিন্তু সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে সেই স্কুল ক্যাম্পাসেই ঘটে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা। একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনায়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ নিহত ও আহত হন। ঘটনার পর কাব্যকেও নিখোঁজ হিসেবে গণ্য করা হয়। পরিবার শঙ্কার মধ্যে পড়লে পরে জানা যায়, কাব্য আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কাব্যের পরিবারের দাবি, তার শরীরের প্রায় ২০ ভাগ পুড়ে গেছে। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় প্রথমে গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম শুরু হয়। পরে কাব্যের সন্ধান পাওয়ার পরপরই পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান।
শিক্ষার্থী কাব্যের চাচা কাজী রাসেল জানান, “আমার ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্যই কাব্যকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় সে গুরুতর আহত হয়। এখন সে বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে, তবে তার অবস্থা ভালো।”
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে