দেশের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী রক্তদানকারী সংগঠন খিদমাহ ব্লাড ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও সমাজসেবক মাওলানা আবদুর রহমান কফিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আগমন উপলক্ষে ফুলেল সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭জুলাই) বিকেলে চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গলে পৌঁছালে স্থানীয় দায়িত্বশীল ও শুভানুধ্যায়ীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে শহরের অভিজাত রিজিক রেস্টুরেন্টে আয়োজন করা হয় এক সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খিদমাহ ব্লাড ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার জেলা পরিচালক মাওলানা মুস্তাকিম আল মুনতাজ তালুকদার, যুব অধিকার পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আরিফ হোসেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাবেক পরিচালক মাওলানা জুনাইদ আহমদ জুনেদ, পরিচালক হাফিজ মাসুম আহমদ, সহকারী প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ ওলিউর রহমান রাহুল, ছাতক উপজেলা শাখার পরিচালক মাওলানা জাহিদ হাসান, শুভাকাঙ্ক্ষী মাওলানা আল আমিন প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, “খিদমাহ ব্লাড ব্যাংক শুধু একটি রক্তদান সংগঠন নয়, এটি মানবতার সেবায় নিবেদিত একটি আন্দোলনের নাম। এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের অবদান অনস্বীকার্য।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান কফিল বলেন, “আজ শ্রীমঙ্গলে এসে আমি অভিভূত। আপনাদের ভালোবাসা, স্বতঃস্ফূর্ততা এবং মানবসেবার প্রতি অঙ্গীকার দেখে আমি অনুপ্রাণিত। রক্ত শুধু শরীরের নয়, রক্ত দান হলো এক প্রাণের সঙ্গে আরেক প্রাণের বন্ধন গড়ে তোলার চর্চা। আমাদের সংগঠনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে—কারও রক্তের অভাবে যেন একটি জীবন ঝরে না যায়।”
তিনি আরও বলেন, “খিদমাহ ব্লাড ব্যাংক শুধু একটি রক্তদানের প্ল্যাটফর্ম নয়। এটি এক মানবিক আন্দোলন, যেখানে আমরা জাতি–ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সবার পাশে দাঁড়াতে চাই। আমরা চাই এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে, যেখানে অসুস্থ মানুষ রক্তের অভাবে পরিবার হারাবে না, মা তার সন্তানকে বাঁচাতে হাহাকার করবে না।”
চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে রক্তদাতাদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “এই সংগঠনের প্রাণ হচ্ছেন আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা—তরুণ-তরুণীরা, যারা নিরলসভাবে দিন-রাত মানুষের খোঁজে ছুটে বেড়ায়। আমি তাদের স্যালুট জানাই। আমি বিশ্বাস করি, শ্রীমঙ্গলের মতো জায়গাগুলো থেকেই মানবতার সবচেয়ে শক্তিশালী আলো জ্বলে উঠতে পারে।”
সবশেষে তিনি স্থানীয় প্রশাসন, গণমাধ্যম ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “একটি মানুষের রক্তদান, আরেকটি মানুষের বেঁচে থাকার কারণ হতে পারে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই বার্তাটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিই।”
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৬ সালের ১৩ই আগস্ট যাত্রা করে খিদমাহ ব্লাড ব্যাংক। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় প্রায় শতাধিক শাখা গড়ে উঠেছে। যেগুলো থেকে প্রতিনিয়ত স্বেচ্ছায় রক্তদানের পাশাপাশি ব্লাড ক্যাম্প ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে