কুষ্টিয়ার মিরপুরে গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তারকে হত্যার পর সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। দ্রুত বিচার ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে মিরপুর উপজেলা সদরের বকুল রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত সুমাইয়ার পরিবার, স্থানীয় সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত সুমাইয়ার মা শাহিদা খাতুন লিখিত বক্তব্যে জানান, “২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি আমার মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয় মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ গ্রামের নবীছদ্দীনের ছেলে আকরাম হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে জামাই ও তার পরিবার আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আমরা জামাইয়ের চাহিদামতো নগদ টাকা ও আসবাবপত্র দিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা কমেনি, বরং বেড়েই যায়।”
তিনি আরও বলেন, “গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ২টার দিকে জামাই আকরাম হোসেন মোবাইল ফোনে আমাকে জানান, আমার মেয়ে অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে আমি আত্মীয়স্বজন নিয়ে জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখি, সুমাইয়ার নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। পরে আমরা থানায় যোগাযোগ করি, কিন্তু পুলিশ হত্যা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।”
“বাধ্য হয়ে আমরা কুষ্টিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মিরপুর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করি (মামলা নং: মিরপুর জিআর-১১২/২৫)। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। আমি দেশের জনগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে আমাকে ন্যায়বিচার দেওয়া হোক।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকলে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে