রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার দীপা রানী পাল (২১) নামের এক তরুণীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি শাহাদাৎ মন্ডলকে (২৫) গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার (০৬ জুলাই) র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, দীপার স্বামী সিঙ্গাপুর প্রবাসী। এই সুযোগে পাংশা উপজেলার সাগর বিশ্বাস (২১) তাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১ জুন রাতে শাহাদাৎ মন্ডলসহ আরও কয়েকজনের সহায়তায় স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
তবে পরবর্তীতে দীপা বিয়ের প্রস্তাব দিলে সাগর টলবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে পরদিন ১২ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর বাড়িতে পৌঁছে দেন।
এই ঘটনায় চরম মানসিক চাপে পড়ে দীপা গত ১২ জুন সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে স্বামীর ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
দীপার আত্মহত্যার পরদিন ১২ জুন দীপার বাবা বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন। এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১০ অধিনায়কের বরাবর একটি অধিযাচনপত্র পাঠান, যার ভিত্তিতে শুরু হয় গোয়েন্দা নজরদারি।
র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১ এর সহযোগিতায় ৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার ভবানীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহাদাৎ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার শাহাদাৎ মন্ডল পাংশা উপজেলার মৈত্রীডাঙ্গী এলাকার জব্বার মন্ডলের ছেলে। তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে