“জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বাংলাদেশে কোনো সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে আলাদা রেখে কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়”—উল্টোরথ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও সিলেট অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রীতম দাশ।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ কেন্দ্রীয় দুর্গাবাড়িতে উল্টোরথ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা শহীদদের আত্মত্যাগের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি, সে বাংলাদেশে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করবে। আমাদের আগামী দিনের সব অনুষ্ঠান হবে উৎসবমুখর। আমরা এই বাংলাদেশকে নিয়েই গর্ব করব।”
রাষ্ট্রের তুলনায় ‘রথ’ এবং সরকারের তুলনায় ‘রথের সারথি’র দৃষ্টান্ত টেনে প্রীতম দাশ বলেন, “আমরা এমন এক দেশে বাস করি, যেখানে সব ধর্ম, মত ও সম্প্রদায়ের মানুষ পরস্পর সহযোগিতা ও সহমর্মিতায় জীবনযাপন করে। তবে অতীতে মানুষে মানুষে বিভাজন ছিল—সেই বিভেদের সংস্কৃতি আমরা পাল্টাতে চাই। ঐক্যের সুরেই রাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে হবে।”
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ধর্ম, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করে একটি ‘ইনক্লুসিভ’ রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজন রয়েছে। হিন্দু, মুসলমানসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষকে এক সুতায় গাঁথতে হবে—হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভানুগাছ কেন্দ্রীয় দুর্গাবাড়ির সভাপতি প্রমেশ পাল এবং সাধারণ সম্পাদক ভুষন দেব প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে রথযাত্রা শুরু হয়। হাজারো ভক্তের অংশগ্রহণে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে রথে চড়িয়ে দুর্গাবাড়ি থেকে বের হয়ে রথযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে আবার দুর্গাবাড়িতে এসে শেষ হয়।
এদিকে, উল্টোরথ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) পৃথক আরেকটি রথযাত্রার আয়োজন করে।
একুশে সংবাদ//র.ন