ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে প্রেমের সম্পর্কের জেরে হামলার শিকার হয়েছেন এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওবায়দুল্লা খান (২২) বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি কোটচাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া খানপাড়ার বাসিন্দা ও গোলাম মোস্তফার ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, কাশিপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওবায়দুল্লার। গত বুধবার (২ জুলাই) প্রেমিক যুগল পালিয়ে যশোরে গিয়ে বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার কোটচাঁদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন। ওই সময় মটরসাইকেলযোগে প্রেমিক ওবায়দুল্লা তাদের পিছু নেন।
ছেলে পক্ষের অভিযোগ, মেয়ের চাচা দিপু ও তার সহযোগীরা ওবায়দুল্লাকে পথিমধ্যে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চিকিৎসক আশরাফুল ইসলামের পরামর্শে রাতেই যশোর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, "আহতের অবস্থা ভালো ছিল না। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত যশোর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।"
অন্যদিকে, মেয়ের চাচা দিপু দাবি করেছেন, “ওবায়দুল্লাকে কেউ মারেনি। সে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। এখন আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন বলেন, "মেয়ে পক্ষ থানায় হারানো সংক্রান্ত জিডি করেছিল। আমরা সে অনুযায়ী মেয়েকে উদ্ধার করেছি। মারধরের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই।"
স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমের সম্পর্ক ও বিবাহের পর এমন হামলার অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
একুশে সংবাদ//ঢা.পর.ন