ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে নিখোঁজ হওয়ার মাত্র ২০ মিনিট পর দুই বছর বয়সী শিশু আলিফ হোসেন এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে পাশের মামা-ভাগ্নের দোয়া নামক বাওড়ের পানিতে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে।
নিহত আলিফ ওই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে আনুমানিক ৯টার দিকে বাড়ির উঠোনে খেলছিল শিশু আলিফ। তার দাদা কাশেম আলী জানান,“আমি তখন পাশের মাচানে বসে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর আলিফকে না পেয়ে আমরা সবাই খুঁজতে শুরু করি। আমার মনে হয় সে পানিতে পড়ে যেতে পারে, তখনই আমি মামা-ভাগ্নের দোয়া নামক বাওড়ে নামি। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পানির মধ্যে তাকে দেখতে পাই। এরপর তাকে তীরে নিয়ে আসি। তারপর আর কিছু জানি না।”
পরিবারের সদস্যরা দ্রুত আলিফকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভির জামান প্রতীক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক বলেন,“শিশুটিকে হাসপাতালে আনার আগেই সে মারা গেছে।”
নিহত আলিফ ছিল মন্টু মিয়ার একমাত্র ছেলে। পরিবারে তিনি দুই সন্তানের জনক হলেও, আলিফ ছিল সবার প্রিয় ও আদরের। একমাত্র শিশুকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন তার বাবা-মা। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে শিশুটিকে দেখতে ভিড় করেন শত শত মানুষ।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,“এখনও পর্যন্ত কেউ আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত হয় না। তবে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করলে অভিযোগ ছাড়াও ময়নাতদন্ত করা হয়।”
একটি অবুঝ শিশুর এমন করুণ মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো এলাকার হৃদয় ভারাক্রান্ত করেছে। এই ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধান ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে