টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জেরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে (৬৮) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৯ জুন) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বন্দর উপজেলার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তীর সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমানের দিকে। যিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের ঘনিষ্ঠ অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রবীণ এ নেতার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং তার একটি পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সময় বন্দর থানা পুলিশের চার সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তাদের সামনেই তাকে মারধর করা হয়।
আহত আতাউর রহমান মুকুল সাংবাদিকদের জানান, বন্দরের হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক সরবরাহের একটি টেন্ডার আমরা পেয়েছি। আজকে ওয়ার্ক অর্ডারে সইয়ের শেষ দিন ছিল। সম্ভাব্য ঝামেলার আশঙ্কায় থানায় জিডি করে চারজন পুলিশ সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাই। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নেতা বজলুর রহমান ও তার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন লোক অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং দুই পুলিশ সদস্যকেও মারধর করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগপন্থি আলাউদ্দিন একটি ঠিকাদারি নিয়েছেন। মুকুল তার পক্ষ নিয়ে কাজ করতে আসেন। এতে স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হেনস্তা করেছে। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি কাজ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। তবে পুলিশ সদস্যদের মারধরের কোনো তথ্য পাইনি। ভুক্তভোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফিরে এসে তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে