ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুসঙ্গল ইউনিয়নের ভাউমহল গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক শিক্ষিকা ও একই পরিবারের তিন সদস্যকে সংঘবদ্ধভাবে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে দুইজন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় ১২ জুন নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহত শিক্ষিকা কহিনূর বেগম জানান, “আমার স্বামী বাড়ির সামনে কুটা-কুড় ফেলছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন এসে তাকে মারধর করতে শুরু করে। আমি ও মেয়ে ফাতেমা জাহান এগিয়ে গেলে আমাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। আমার নাকের হাড় ভেঙে গেছে, চোখে রক্ত জমেছে। এমনকি গায়ের কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়।”
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৯ জুন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মো. আলমগীর সিকদার তার বাড়ির সামনে কুটা-কুড় ফেলছিলেন। পূর্বের জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই এলাকার আশিকুল রহমান সৌরভ, হাবিবা বেগম, নূর ইসলামসহ আরও কয়েকজন লোহার রড ও লাঠি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তার চিৎকারে স্ত্রী ও মেয়ে এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। অভিযোগে শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং কন্যা ফাতেমার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
গুরুতর আহত কহিনূর বেগম নলছিটির মানপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত। আহতরা বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। তবে এখনো পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
বাদী মো. আলমগীর সিকদার বলেন, “মামলা করার পর থেকে আসামিরা হুমকি দিচ্ছে। তারা আমাদের পঙ্গু করে দেওয়া বা হত্যা করে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করছে।”
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম বলেন, “বাদীকে হুমকির কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে