ময়মনসিংহ নগরে সড়কের পাশ থেকে নেত্রকোনর কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরের শান্তিনগর এলাকায় সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো.ফিরোজ হোসেন।
মৃত রুহুল আমীন আকাশ (৩০) কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রহিমপুর বেলুয়াতলী গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদ নওয়াব আলীর ছেলে। তিনি একই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আকাশ নিজ এলাকায় একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
আকাশের ভগ্নিপতি বোম্বে সুইটস কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে আকাশ বিয়ে করেন। তার স্ত্রী গাজীপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। রবিবার আকাশ আমাদের বাসায় বেড়াতে আসলে অসুস্থ বোধ করেন। সকালে হাসপাতালে যাবে বলে বাসা থেকে বের হন তিনি। পরে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় আকাশ মারা গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আকাশকে সড়কে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, রবিবার বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন আকাশ। সকালে তিনি শান্তিনগর এলাকায় একা হাঁটতে বের হন। পরে পথচারীরা তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। হাঁটতে গিয়ে মাথা ঘুরে সড়কে পড়ে কিছুটা রক্তাক্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কলমাকান্দা থানার ওসি মো. লুৎফুর রহমান বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা আকাশ মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে তার নামে মামলা আছে কিনা এই মুহূর্তে মনে নেই। খোঁজখবর নিচ্ছি।
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে