গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন গৃহবধূ খাদিজা খাতুন (২৫)। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের কুল্লাগাছার মোল্লাপাড়ায়। বর্তমানে সে তিনি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার কুল্লা গাছার মোল্লাপাড়ায় মিকাইল হোসেনের বাড়ির রান্না ঘরে গ্যাসের চুলায় আগুন লেগে যায় । এতে করে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন (২৫)। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খাদিজা খাতুন দুই সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশী বিউটি খাতুন বলেন, খবর শুনে ছুটে এসে দেখতে পেলাম, আগুনে পুড়ে গেছে তার হাত, পা ও মুখ। প্রথমে আমরা ধারণা করেছিলাম বিদ্যুতায়িত হয়ে এমনটা হয়েছে। পরে জানতে পারলাম গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে গেছে।
ওই আগুনে ঘরে থাকা, কিছু টাকা, চালের বস্তাসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। তবে অক্ষত রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার আর চুলা এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খাদিজার স্বামী মিকাইল হোসেন বলেন, শনিবার রাতে রান্না শেষ করে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে ঘরের দরজা দিয়ে রাখেন। এরপর রবিবার সকালে ঘর পরিষ্কর করার জন্য রান্না ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। তবে সে চুলার কাছে যায়নি। এরমধ্যে ওই চুলায় আগুন লেগে যায়। এ সময় আগুন নেভাতে গেলে পুড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
তিনি বলেন, এরপর খাদিজাকে যশোর হাসপাতালে নিলে, তারা দেখে আমাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেন। বর্তমানে খাদিজাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, খাদিজার হাতে ওই সময় কোন আগুন ধরাবার কিছুই ছিল না। রান্না ঘরের দরজা খুলে ভিতরে যেতেই আগুন লাগে গ্যাসের চুলায়। এটা কি ভাবে সম্ভব এমন প্রশ্নের উত্তর মিলছে না স্বামী মিকাইলের।
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আগুনে রোগীর দুই পা, হাত ও মুখ মণ্ডলের আংশিক পুড়ে গেছে। আমরা তাকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। ওই রোগীর শরীরের কতটা অংশ পুড়েছে বলে মনে করছেন, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যতটুকু দেখলাম, তাতে করে আগুনে শরীরের ৩০/৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে