যশোরের কেশবপুরে সরকারি খালের কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করায় বর্ষা মৌসুমে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অভিযোগে শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম জানান, কেশবপুর পৌর এলাকার মধ্যকুল আমতলা নামক স্থানে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে একটি সরকারি খালের মাধ্যমে বর্ষার পানি হরিহর নদীতে নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু গত ১৮ মার্চ গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার নাঘোরঘোপ গ্রামের মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন শিমুল রাতের আঁধারে ২০–২৫টি মাটিবাহী ট্রাক্টর দিয়ে খালের কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে দেন। ফলে প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এর ফলে মনিরামপুর উপজেলার একাংশ ও কেশবপুরের মধ্যকুল ও হাবাসপোল এলাকার প্রায় সহস্রাধিক পরিবার জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দিলে তিনটি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে এবং রাস্তাঘাটও প্লাবিত হতে পারে।
নজরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত ২৭ মার্চ এক সালিস বৈঠকে ৩ ফুট চওড়া ও ৪ ফুট উঁচু করে কালভার্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা সালিস অমান্য করে কালভার্ট নির্মাণ না করে বরং তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় হয়রানি করছে।
তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ চেয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মোড়ল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম, কাশেম সরদার, আজিজুর রহমান, ইয়াসমিন বেগমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
অন্যদিকে, অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অভিযুক্ত জাকির হোসেন শিমুল সাংবাদিকদের জানান, “মাটি ফেলার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্কেভেটর দিয়ে মাটি সরিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, “নজরুল ইসলাম আগে আমার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন, পরে আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করলে আমি অস্বীকৃতি জানাই। এ কারণেই থানায় অভিযোগ করেছি, আর এখন আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে।”
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে