AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঝালকাঠিতে জমে উঠছে পশুর হাট 



ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঝালকাঠিতে জমে উঠছে পশুর হাট 

ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শেষ সময়ে ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে পশুর হাট। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে থেমে থেমে ঝিরিঝিরি ও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে ঝালকাঠিতে। বইছে দমকা বাতাস। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও এদিন ঝালকাঠি সদরের বিকনা ও জেলার রাজাপুর উপজেলার বাঘরী হাট ঘুরে দেখা যায়, কোরবানিকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে গরু। 

দুপুর তিনটা পর্যন্ত ছোট-বড়-মাঝারি আকারের গরু, কয়েক বছর লালন পালনের পর বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন খামারিরা। এদিন সরবরাহ বেশি থাকায় মূল হাটের আশেপাশেও গরু বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ক্রেতারা।

এ বছরও কোরবানির পশুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা অপরদিকে গো-খাদ্যের যে দাম তাতে খামারিরা লোকসানের মুখে পরবে। 

জেলার বিকনা গরুর হাটে বসে কথা হয় নলছিটি উপজেলার মোসলেম আলীর সঙ্গে তিনি জানান, বাজারে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। যারা ছোট গরু বাজারে এনেছেন তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন। বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় বিক্রিও কম। খুব বেশী লাভ হচ্ছে না।

এ সময় এক খামারি বলেন, পশু পালনে খরচ বেড়েছ। কিন্তু সে তুলনায় মিলছে না দাম। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গত বছর ২ হাজার টাকায় যে খড় পাওয়া যেত এবছর তার দাম ৩ হাজার টাকা। ভূষি, খুদ, কুড়ার দামও প্রায় আগের তুলনায় ৫০ ভাগ বেড়েছে। খরচ বাড়লেও গরুর দাম আগের মতোই।

বিক্রেতা তোতা আলীর জানায়, বৈরি আবহাওয়ার জন্য ক্রেতা কম। এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে যারা বড় বড় গরু কিনতেন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারনে তাদের বেশিরভাগ পলাতক। ফলে বাজারে গরু বেচাকেনা কম। সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ। এ কারণে বড় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা।

আশাবুল নামের এক ব্যাপারী বলেন, যারা পলাতক তারা অনেক টাকার মালিক ছিল। অনেকগুলো কোরবানি দিত। বড় থেকে শুরু করে পাতি নেতারাও গরু কিনত। সেই অংশটা বাজারে না আসায় চাঙ্গা ভাবটা নেয়।

এদিকে ক্রেতা মোসলেম জানান, সবাই এক ধরনের অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বড় অংকের টাকা খরচ করতে চাচ্ছে না। ফলে আগের মতো জমজমাট বাজার এখনও শুরু হয়নি।

রাজাপুরের আব্দুর রশীদ বলেন, ‘ঘুরে ঘুরে গরু দেখছি। বাজেট আর পছন্দ মতো হলে তবেই কিনব।’

এ দিকে হাটের ইজারাদাররা বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা যে এখনও স্থিতিশীল না, তার বড় প্রমাণ কোরবানি বাজার। কোনো হাটেই জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে না। বড় গরুর বিক্রি নেই বললেই চলে। বড় গরুর খামারিদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তবে শেষ দিনে গরু বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা এই ইজারাদারের।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, খামারে লালন পালন করা দেশি গরু আশানুরূপ দামে বিক্রি করতে পারছেন না তারা। গবাদি পশুর লালন পালন করতে গিয়ে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তা তোলাই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন মতো দাম না পাওয়ায় কেউ কেউ বাড়িতে ফেরত নিয়ে গেছেন কোরবানির পশু।

হাট ইজারাদারদের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোরবানির পশু যাতে নির্বিঘ্নে করতে পারে সেজন্য হাটে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের। জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন, ভেটেনারি টিম, বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

উল্লেখ্য এবার ঈদে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় বর্তমানে ২ হাজার ৩২০টি ষাঁড়, ২৫০টি বলদ, ৫৯৬টি গাভি, ২ হাজার ৫৬টি ছাগলসহ ৫ হাজার ২২২টি গবাদিপশু রয়েছে। নলছিটি উপজেলায় ১ হাজার ৪২৭টি ষাঁড়, ১৭৩টি বলদ, ২৮৬টি গাভি, ২৫টি মহিষ, ৯৬০টি ছাগল, ২০টি ভেড়াসহ ২ হাজার ৮৯১টি গবাদিপশু রয়েছে। রাজাপুর উপজেলায় ১ হাজার ২৭৮টি ষাঁড়, ৫৩৩টি বলদ, ১৭৯টি গাভি, ৭টি মহিষ, ৭০৭টি ছাগল, ১৭টি ভেড়াসহ ২ হাজার ৭২১টি গবাদিপশু রয়েছে। কাঁঠালিয়া উপজেলায় ১ হাজার ২৯০টি ষাঁড়, ৫৪০টি বলদ, ১৬০টি গাভি, ২০টি মহিষ, ৬৫০টি ছাগল, ১০টি ভেড়াসহ ২ হাজার ৬৭০টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে।

এছাড়া জেলার ৪টি উপজেলায় ৮৩টি প্রচলিত হাট-বাজার রয়েছে। এসব হাট কুরবানির সময় পশুর হাটে পরিণত হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬টি নিয়মিত প্রচলিত হাট রয়েছে। এ ছাড়া নলছিটি উপজেলায় ২৫টি, রাজপুর উপজেলায় ৩০টি ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় ১৩টি হাট রয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।


একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.কে

Link copied!