AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সফটওয়্যার সমস্যায় ঈদের খুশি থেকে বঞ্চিত কোটচাঁদপুরের ৩০০ শিক্ষক



সফটওয়্যার সমস্যায় ঈদের খুশি থেকে বঞ্চিত কোটচাঁদপুরের ৩০০ শিক্ষক

ব্যাংকে টাকা ঢুকলেও তুলতে পারেনি কোটচাঁদপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষক। ঈদের খুশি  থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। সফটওয়ারের সমস্যায় এমনটা হয়েছে দাবি শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালামের।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ সব বিদ্যালয়ে রয়েছে ৪৫০ জন শিক্ষক। ওই সব শিক্ষকের বেতন হয় সোনালী ব্যাংক ও অগ্রনী ব্যাংক থেকে। বুধবার ছিল অফিসের শেষ দিন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেতন ঢোকেনি বলে জানতেন সব শিক্ষকরা। হঠাৎ ৫টার পর সবাই টাকার ম্যাসেজ পান। এরপর টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে ছোটেন শিক্ষকরা। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দুই ব্যাংক থেকে টাকা নিতে পেরেছেন ৭০ জন শিক্ষক বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বাকিরা টাকা তুলতে পারেননি। সর্বশেষ কোটচাঁদপুর সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন বাজেবামনদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা নেন চাঁদপাড়া বিদ্যালয়ের আশরাফুল ইসলাম। 


এ ব্যাপারে বাজেবামনদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবল হোসেন বলেন, টাকা তুলতে না পারায় আমার তেমন সমস্যা নাই। তবে যে সব শিক্ষক শুধু বেতনের উপর নির্ভর,সে শিক্ষকরা সমস্যায় আছেন। তবে কি কারণে বেতন ঠিক সময় হলো না তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোটচাঁদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান (কচি) বলেন, কোটচাঁদপুরে ৭৪টি বিদ্যালয়ের ৪৫০ জন শিক্ষক আছেন। এ শিক্ষকদের মধ্যে বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবাই জানতেন বেতন হচ্ছে না। তবে ৫টার পর ব্যাংক থেকে ফোন করেছিল টাকা নেয়ার জন্য। আমি জানি না কতজন টাকা তুলতে পেরেছেন।

এড়ান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ঈদের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। এছাড়া আজই অফিসের শেষ কর্ম দিবস। আমার জানামতে এখনও পর্যন্ত ৩শ-৪শ শিক্ষক তাদের বেতন তুলতে পারেননি। এর জন্য তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালামকে দায়ী করছেন।

তিনি বলেন, বেতনের জন্য চাহিদা দিতে হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এরপর বেতন ছাড় হয়। তিনি সেই কাজটি করেছেন, তবে দেরি হয়ে গেছে। এর জন্য আজ অনেক শিক্ষকের ঈদের খুশি ম্লান হয়ে গেছে।

সোনালী ব্যাংক কোটচাঁদপুর শাখার ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, অফিস সময়ের পর টাকা ঢুকেছে ব্যাংকে। এরপর অনেককে ফোন করে বলা হয়েছে টাকা নেবার জন্য।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৫-২০ জনের মতো টাকা নিতে পেরেছেন। এরপরও যদি কোনো শিক্ষক টাকা নিতে আসেন আমরা টাকা দিব।

এর জন্য কারা মূলত দায়ী, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা শিক্ষা অফিস ও হিসাবরক্ষণ অফিসে কথা বলেন। ওনারা বলতে পারবেন। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী চলি। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা দিলে আমরা টাকা দিব।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন, একটু সমস্যা ছিল। সেটা সমাধান করতে ঢাকা গিয়েছিলাম। সব কাজকর্ম করে দিয়ে এসেছিলাম। এরপর গেল ২৫ তারিখে বিষয়টি নিয়ে আবারও কথা বলি ঢাকাতে, ওনারা আমাকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। আমি অপেক্ষায় আছি। তাহলে এ টাকা নিয়ে আমাকে যারা দোষারোপ করছেন, এটা করা ঠিক হচ্ছে কি? এমন প্রশ্ন তোলেন ওই কর্মকর্তা। 
সফটওয়ার  সমস্যায় ব্যাংকে টাকা ঢোকেনি বলে পরে জানতে পেরেছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম সঙ্গে। তবে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। 
 

 

একুশে সংবাদ/ ঝি.প্র/এ.জে

Link copied!