AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শিক্ষক সংকটে চরভদ্রাসনের রোকনউদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়



শিক্ষক সংকটে চরভদ্রাসনের রোকনউদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

চরম শিক্ষক সংকট নিয়ে চলছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন  উপজেলার একমাত্র রোকনউদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম। বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে বর্তমানে  ৮ জনের পদই শূন্য।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় এক বিষয়ের শিক্ষক অন্য বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। এতে ওই বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস ধরে শিক্ষক সংকট থাকায় নিয়মিত ক্লাস করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে প্রধান শিক্ষক অবসরে যান। পাশাপাশি বদলিজনিত কারণে ৩ জন ও বিএড প্রশিক্ষণে গেছেন একজন শিক্ষক। বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে তিন শতাধিক।

শিক্ষকেরা জানান, প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও সাতটি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় এক বিষয়ের শিক্ষককে অন্য বিষয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে অন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ বাড়ছে।

বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক সবিতা সরকার বলেন, বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকসহ মোট ১১ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে তিনজন শিক্ষক আছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক সংকট দূর করার পাশাপাশি এই বালিকা বিদ্যালয়টিতে নারী শিক্ষকের খুব প্রয়োজন। বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে সবিতা সরকার দায়িত্ব পালন করলেও দুই মাস পরে তিনি অবসরে যাবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।

শিক্ষক সংকট দূরীকরণ ও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যালয়টির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা খাতুন ক্যামেরার সামনে কথা না বলে অফ ক্যামেরায় বলেন, আমি এই উপজেলাতে এসেছি কয়েক মাস হলো। শিক্ষক বা কোনো অভিভাবক এই বিষয়টি আমাকে জানায়নি। সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি জানতে পেরেছি।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূরীকরণে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে কথা বলে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


একুশে সংবাদ / ফ.প্র/এ.জে

Link copied!