গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে, যা এলাকায় কৃষির সম্ভাবনাময় একটি দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
স্থানীয় উদ্যোক্তা মো. শওকত আলী ভেনুর মালিকানাধীন ফার্মাস এগ্রো বাংলা লিমিটেডের বিশাল এই বাগানে ড্রাগনের পাশাপাশি মাল্টা, লেবু, পেয়ারা, পেপে ও অন্যান্য সাইট্রাসজাত ফলের চাষও চলছে। প্রায় ৩৫০ শতাংশ জমির মধ্যে ১০০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ করা হয়েছে। বাগানে চার হাজারেরও বেশি ড্রাগন গাছ রয়েছে।
কেয়ারটেকার মো. আশরাফুল আলম জানান, ড্রাগন চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কম, এবং ১৮ মাস বয়স হলেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। ফুল আসে চৈত্র মাসে, আর বৈশাখ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়।
ড্রাগন ফল দেখতে আকর্ষণীয় এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে মিনারেল, প্রোটিন, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’, এবং প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট। ফলটি জ্যাম, জেলি, জুস, আইসক্রিম ও ক্যান্ডি তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। উন্মুক্ত ও সূর্যালোকপূর্ণ পরিবেশে দোআশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। জমিতে পানি নিষ্কাশনের সুবিধা থাকা আবশ্যক।
গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, জেলার প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ হচ্ছে। মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য অনুকূল। কৃষকদের জৈব সার ও বালাইনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সফল ফলন পেলে ড্রাগন চাষ বেকার যুবকদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
একুশে সংবাদ / গা.প্র/এ.জে