মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হাজিপুর গ্রামের গনেশ সূত্রধর ও কামনা সূত্রধর দম্পতির কাছে থেকে আদিত্য সূত্রধর (৩) নামের এক শিশুকে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে সাটুরিয়া থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার হাজিপুর গ্রাম থেকে গনেশ সূত্রধর ও কামনা সূত্রধরের দত্তক নেয়া পুত্র আদিত্য সূত্রধরকে থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় আদিত্যর সঙ্গে তার পালক পিতা মাতা ছিলেন। শিশু আদিত্যকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় বিগত ১৯/৮/২২ ইং তারিখ নোটারি পাবলিক টাঙ্গাইল-এর মাধ্যমে মাইসাতো বোন বাসনা রানীর কাছ থেকে সদ্যজাত ছেলে সন্তান কৃষ্ণকে দত্তক নেন নিঃসন্তান কামনা রানী। দত্তক নেয়ার পর সনাতন রীতিনীতি মেনে ছেলের নাম আদিত্য রেখে অন্নপ্রাশন থেকে সমস্ত ক্রীড়া কর্ম করেন। জন্মের পর হতে আদিত্য কামনা-গনেশকে মা-বাবা হিসেবেই চেনে। বাসনা রানী টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার কাজীহারা গ্রামের দীলিপ মন্ডলের স্ত্রী।
কামনা সূত্রধর কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমি আমার মাইসাতো বোনের কাছ থেকে আদালতে এফিডেভিট করে ছেলেকে নিয়েছি। এ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে আমিই ভরনপোষণ করেছি। ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে এ সন্তানকে নষ্ট করতে চেয়েছিল আমার বোন। আমি তাকে নিষেধ করে সন্তান ভূমিষ্ঠ করিয়েছি। সিজার করার টাকা থেকে আমার ভগ্নিপতিকে ২ লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছি। বিভিন্ন সময়ে তাকে টাকা প্রদান করেছি। আজ আমার কাছ থেকে ছেলে কেরে নেয়ার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছে। ওর তো আরও তিনটি ছেলে আছে। আমার তো একটাই সন্তান কেন নিবে। আমি আমার সন্তান দেব না।
বাসনা রানী জানান, আমার সন্তান আমার বোনকে দিয়েছিলাম এখন দেব না। বোনের কাছে আমার সন্তান চাইতে গেলে দিবে না বলে। এ জন্য আদালতে মামলা করেছি। এখন দেখি ক্যামনে রাখে।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুল ইসলাম জানান, বাসনা রানী আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত সন্তান উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পুলিশ আদালতের নির্দেশে শিশুটিকে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে