AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গরমে কমলগঞ্জে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা



গরমে কমলগঞ্জে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা

চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ছাড়াও একটি ভিন্নধর্মী ফল হলো তাল। তালের ভেতরের অংশ খুবই সুস্বাদু। গ্রামীণ ভাষায় এটি তালের শাঁস নামে পরিচিত। গরমে তালের এই শাঁস মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তাই জৈষ্ঠ্যের এ মধুমাসে বাজারে নানা ফল উঠলেও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তালের শাঁস বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পৌর শহর ভানুগাছ বাজারে কয়েকটি জায়গায় ভ্যানগাড়ি, রাস্তার পাশে কচি তালের শাঁসের পশরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে এ ফল খাচ্ছেন, অনেকে আবার বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ভানুগাছ বাজারের চৌমুহনা, ১০নং পয়েন্ট ও কলেজ রোডে রাস্তার পাশে তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ জলশূন্যতা দূর করে, চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়। তালের শাঁসে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন।

ভানুগাছ বাজার কলেজ রোড থেকে তালের শাঁস কেনা ব্যবসায়ী শাকিল মিয়া বলেন, “প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তি নিতে ৪০ টাকায় দুটি তাল কিনলাম। এ গরমে শাঁস খেতে খুব ভালো লাগে।”
টমটম চালক কবির মিয়া বলেন, “২০ টাকা দিয়ে একটি তাল কিনেছি, অনেক সুস্বাদু, খেয়ে অনেক ভালো লাগলো।”

লন্ডন প্রবাসী সুমন আহমেদ বলেন, “তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। আমি অনেক দিন পর এই সুস্বাদু ফল খেলাম। সত্যিই মনটা জুড়ে গেলো।”

সাংবাদিক আহমেদুজ্জামান আলম বলেন, “গরম থেকে এসে তালের শাঁস খেতে ভালোই লাগে। খুবই সুস্বাদু ফল। এবারের গরমে তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে।”

তালের শাঁসের ক্রেতা সুলতানা বেগম বলেন, “তালের শাঁস আমার খুব প্রিয় একটি ফল। এখানেই একটি খেয়েছি, আরও ৪টি বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।”

তালের শাঁস বিক্রেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, “গরম পড়লে তালের শাঁস ভালো বিক্রি হয়। প্রতিবছর আমি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করি। এ বছর আমি গ্রাম থেকে ১৪টি গাছ থেকে শাঁস সংগ্রহ করেছি, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ থেকে ৩শ শাঁস বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের শাঁস ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করছি।” তিনি আরও বলেন, “গরমে স্বস্তি দিতে তালের শাঁস সবার প্রিয় ফল। বিক্রি করেও আমরাও লাভবান হচ্ছি।”

 

একুশে সংবাদ/ মৌ.প্র /এ.জে

Link copied!