AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটা-তাজা করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মালিকরা



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটা-তাজা করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মালিকরা

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারের মালিক-কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিনিয়ত তারা গরুর পরিচর্যা ও খাবারের মান ঠিক রেখে শেষ সময়ে গরুর মোটা-তাজা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৫টি গবাদি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৭টি গবাদি পশু। চাহিদার তুলনায় কিছু গবাদি পশু বেশি রয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, জেলার সদর উপজেলায় ৪১৭১টি খামার, সরাইল উপজেলায় ১২৭৫টি, আখাউড়া উপজেলায় ৭৭৭টি, কসবা উপজেলায় ২০৪৪টি, নাসিরনগর উপজেলায় ১৬১৮টি, নবীনগর উপজেলায় ১৭০৩টি, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৮১টি, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০২৭টি ও বিজয়নগর উপজেলায় ৮৯৬টি খামার রয়েছে। এসব খামারে ৫৮৮৯৪টি ষাঁড়, ২৩৪২৩টি বলদ, ১৭২৫০টি গাভি, ১২১৬৬টি মহিষ, ১৫৩২১টি ছাগল, ৮৫৮১টি ভেড়া লালন-পালন করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে পৌর শহরের নয়নপুর এলাকার রূপচান্দ বিবি ডেইরি খামারে গিয়ে দেখা যায়, ওই খামারে কোরবানির জন্য শতাধিক দেশীয় গরু লালন-পালন করা হচ্ছে।

ওই খামারের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমরা দেড় শতাধিক গরু লালন-পালন করেছিলাম। গত বছর ৩০টি গরু বিক্রি করতে পারিনি। গত বছরের থাকা ৩০টি গরুসহ এই বছর শতাধিক গরু লালন-পালন করেছি। সবগুলোই দেশীয় জাতের। প্রতিদিন গরুগুলোকে ২-৩ বার করে মোটরের পানি দিয়ে গোসল করাই। গরুর যেন গরম না লাগে সেজন্য বৈদৎুতিক পাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে খামারে। গরুগুলোকে স্বাভাবিক খাওয়ার দেওয়া হয়।

কথা হয় কয়েকজন মাঝারি খামারের মালিকের সাথে। তারা জানান, জেলায় ১৪ হাজার ৭৯২টি খামারি রয়েছেন। গো-খাদ্যের দাম বাড়াতে গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে। তবে দানাদার খাবারের পরিবর্তে গো-খাদ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়াতে পারলে গরুর দাম অনেক কমে যাবে। 
আমরা খামার থেকেই গরু বিক্রি করি। চোরাই পথে গরু না এলে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবে। গত দুই বছর ধরে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুল ইসলাম জানান, জেলায়ই চাহিদার তুলনায় অধিক কোরবানির পশু রয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে গরু অন্য জেলায়ও বিক্রি করা যাবে। পাশাপাশি মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গবাদি পশু বিক্রি করবেন।

 

একুশে সংবাদ/ব্রা.প্র /এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!