মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ এবং ১০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
ফলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানসহ শিক্ষাকার্যক্রমে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ ও ১০টি সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
উপজেলার বালিয়াটি খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শুকুর আলী জানান, তাদের বিদ্যালয়ে প্রায় তিন বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। চারজন শিক্ষকের মধ্যে একজন ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। তিনজন শিক্ষকের একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্কুলের নানা বিষয়ে উপজেলায় দৌড়াদৌড়ি করায় দুইজন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে।
উপজেলার কলাশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুমানা আভার রুমি জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে বিদ্যায়লটিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করাতে তাকে বিদ্যালয়ের কাজে প্রতিনিয়ত উপজেলায় যেতে হয়। যার ফলে বিদ্যালয়ে তার ক্লাসগুলো অন্য শিক্ষক দিয়ে কোনো রকমে চালিয়ে নিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রতুল চন্দ্র সরকার বলেন, আমাদের শিক্ষক সংকট রয়েছে তার মধ্যে প্রধান শিক্ষক ২৮ ও সহকারী শিক্ষকের ১০টি পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছি।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে