মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে শফীকুল ইসলাম রাতুল (২৯) নামক এক যুবক আহত হয়েছে।
আহত শফিকুল ইসলাম রাতুল লৌহজং উপজেলার মেদিনী মন্ডল ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার পূর্ব ভোগদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদয়ালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে রাতেই লৌহজং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আহত শফীকুল ইসলাম রাতুল শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার দুপুরে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাসায় আসার সময় স্থানীয় শাহাদাৎ হোসেন বাবুর নেতৃত্বে মাসুক শেখ (২০), মুন্না শেখ (২৮) আমার উপর হামলা করে। ওরা আগে থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে নিরিবিলি জায়গায় অবস্থান করছিলো। আমি আসার সাথে সাথেই আমার উপর হামলা করে। এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষির পাশাপাশি লাঠিসোটা দিয়ে আমাকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এ সময় আমার ডাকচিৎকারে আশেপাশের মানুষ এসে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফুলা হয়ে গিয়েছে। ঘটনার সময় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা।
আহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল হোসেন জানান, জসিম শেখের সঙ্গে ১৯ শতাংশ জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কোর্টে মামলা দায়ের করি। সে জের ধরে জসিমের পক্ষে শাহাদাৎ হোসেন বাবুর সাঙ্গপাঙ্গ মাসুক ও মুন্নাকে দিয়ে আমার সন্তানকে মারধর করিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত জসিম শেখ জানান, রাতুলদের সাথে আমাদের জমির বিরোধ আছে সত্যি, কিন্তু রাতুল আমাদের দ্বারা হামলার শিকার এ অভিযোগটি মিথ্যা। কে বা কারা এ হামলা করেছে সেটা আমি জানি না। আপনারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওসমান গনি জানান, রাতুলকে মারধরের অভিযোগটি সত্যি। তবে জমি নিয়ে বা অন্য কোন ঘটনা আছে কি না সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। হামলায় জড়িত থাকা মুন্না ও মাসুক পলাতক রয়েছে।
একুশে সংবাদ/মু.প্র/এ.জে