সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অনাস্থা প্রস্থাবের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃ্হস্পতিবার (১৫মে) দুপুরে উপজেলার মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুছ ছাত্তার একটি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ৩ সেপ্টেম্বর মাসিক সাধারণ সভায় পরিষদের দায়িত্বে থাকা পূর্বের প্যানেল চেয়ারম্যানগণ দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে আমার বিরুদ্ধে গত ১২ মে মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুছ ছাত্তারের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ এনে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৮ সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থার প্রস্থাব জমা দেন।
একই দিনে তাদেরকে অব্যহতি দিয়ে নতুন করে প্যানেল গঠন করা হয়। প্যানেলে আমাকে চেয়ারম্যান (প্যানেল-১) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা। পরবর্তীতে পরিষদের চেয়ারম্যান অসুস্থতা জনিত কারণে ছুটিতে চলে যান। পরিষদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে গত ৪ ডিসেম্বর মাসিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আবেদন প্রেরণের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাকে গত ২০ জানুয়ারি পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে আমি পরিষদের যাবতীয় কাজ ইউপি সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা, অর্থলোভী ও স্বার্থান্বেষী ইউপি সদস্যদ্যের দুয়েকজন নিয়মবহির্ভুতভাবে আমি দায়িত্ব পাওয়ার ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কাছে একটি লিখিত অনাস্থার প্রস্তাব দেন। মূলত আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই চক্রটি কাজ করে যাচ্ছে। দাখিলকৃত অনাস্থার প্রস্তবে তারা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উল্লেখ করেছেন তার একটিও সত্য নয়। অনাস্থার প্রস্তাবে আমার ব্যাপারে চক্রটি নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ তুলেছেন। অথচ দায়িত্ব পাওয়ার পরে আমি একদিনও অফিসে অনুপস্থিত থাকি নাই। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করার অভিযোগও এনেছেন এই প্রস্থাবে। প্রত্যেক মাসের মাসিক সমন্বয় সভার রেজুলেশন দেখলেই বুঝবেন তাদের সাথে আমি সমন্বয় করি কি না। মূলত তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কার্যাবলি আমি স্বচ্ছতার সাথে নিয়মিত পালন করে যাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এসকল ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর আহম্মদসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/সু.প্র/এ.জে