সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার ১নং বংশিকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের রূপনগর গ্রামের মো. আব্দুল আলীর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে, এমন অভিযোগ উঠেছে ইছামাড়ী গ্রামের মো. সুজাত মিয়ার বিরুদ্ধে ।
জানা যায় ১২ মে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহিষখলা রোডের ভোলাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে ইছামাড়ী গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোটরসাইকেলে এসে অটোরিকশার গতিরোধ করে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে।
দিন দুপুরে ডাকাতির অভিযোগ করেন রূপনগর বাজারের সালমান স্টোর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আব্দুল আলী।
তিনি জানান, নিজের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ১১ মে রবিবার শুভ হালখাতা করেন। পরদিন পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা সদর বাজারের মহাজন বিপ্লব সাহার শুভ হালখাতায় পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছেলে মো. সালমান মিয়া ও নেত্রকোনা থেকে আগত মেহমান মো. আ. মান্নানের দ্বারা টাকাগুলি পাঠিয়ে দেন।
এরই মধ্যে সুজাত মিয়ার পাশের বাড়ির মো. শহিদ মিয়ার অটোরিকশা নিয়ে কলমাকান্দা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রায় ১ কিলোমিটার সামনে যেতেই ভোলাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে অভিযুক্ত সুজাত মিয়া সালমান মিয়ার অটোরিকশা থামিয়ে ডিভি পরিচয় দিয়ে বলে যে, অটোতে অবৈধ মাল আছে, পরে চেক করা শুরু করে, এবং মেহমান আ. মান্নানের ব্যাগ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুজাত মিয়ার সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে সে উত্তরে বলে, আনসার মো. কামাল মিয়া আমাকে বলেন, ঐ অটোরিকশায় অবৈধ মাল আছে, আমাকে অটোরিকশা চেক করতে বলেন, পরে আমি অটোরিকশা চেক করি এবং আমি কোনো টাকা নেয়নি ।
এবিষয়ে আনসার কামালের সাথে মোবাইলে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
এদিকে ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মো. আবদুল আলী বাদী হয়ে ছিনতাইকারী সুজাতের বিরুদ্ধে মধ্যনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে মধ্যনগর থানার এসআই মহিনূর বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/সু.প্র/এ.জে