পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এক প্রভাবশালী দালাল সিন্ডিকেট। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ঘিরে এসব দালালদের দৌরাত্ম্যে প্রকৃত জমির মালিকেরা পড়েছেন চরম হয়রানির শিকার। অফিস কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক নীরবতায় চক্রটি এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সূত্র জানায়, জমি অধিগ্রহণের টাকা আদায়ের নাম করে দালালরা নানাভাবে জমিদাতাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জমির খতিয়ান, দলিল কিংবা কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করে এসব দালাল চক্র কখনও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জমির দখল দাবি করছে, আবার কখনও ব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর নিয়ে আপস-মীমাংসার নামে অর্থ লুটে নিচ্ছে। নারী-পুরুষ, হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে কেউই রেহাই পাচ্ছেন না তাদের ফাঁদ থেকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দালালদের মূল ঘাঁটি এখন ডিসি কোর্টের পশ্চিম পাশের দোকানপাট ও হোটেলগুলো, যেখানে জমির মালিকদের জিম্মি করে করা হয় ‘ডিল’। অভিযোগ রয়েছে, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে এলএ শাখার কিছু অসাধু কর্মচারী, স্থানীয় মাস্তান ও প্রভাবশালীরাও জড়িত। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলোকেও তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলে স্থানীয়রা জানান।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, “আমাদের টাকা শেষ, জুতা ছিঁড়ে গেছে, কিন্তু এখনো কাগজপত্র ঠিক হয়নি।”
তবে এই সিন্ডিকেটের প্রভাব শুধু দালালদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এলএ শাখার সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ কেউ বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। কেউ কেউ দ্বিতীয় বিয়েও করেছেন সেই টাকার জোরে।
পাঠকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা—আগামী পর্বগুলোতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া, সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী উপজেলার এলএ শাখা ঘিরে কারা কারা জমি বেচাকেনা ও বাড়ি নির্মাণে দালালি করেছেন এবং কে কোথায় কত টাকার সম্পদ গড়েছেন, তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :