"স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে যারা সমালোচনা করেছে, তারাই হয়েছেন জেল, জুলুম, গুম ও খুনের শিকার"— এমন মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম।
বুধবার (৭ মে) বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা কেএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কুর্শা ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, “শেখ মুজিব গণতন্ত্র ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই বাকশাল ভেঙে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন উন্নয়নমুখী নেত্রী, আর শেখ হাসিনা ছিলেন একজন দমনমূলক শাসক।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়। আওয়ামী লীগ একটি মানবতাবিরোধী দল, যারা গণহত্যা ও গুমের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে।”
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সরকার পরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে প্রশাসনের মাধ্যমে গুম ও নির্যাতন করেছে। অনেক নেতাকর্মীকে পঙ্গু করা হয়েছে, আবার কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারের দমননীতি ও রাজনৈতিক নিপীড়নের কারণে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।”
সম্মেলনে কুর্শা ইউনিয়ন বিএনপির নতুন আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মকবুল হোসেন ডিলারকে সভাপতি, মিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক এবং আল-আমিনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান তোফাজ্জেল হোসেন লালু ডাক্তার ও আব্দুল খালেক। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুল কাদের ও উজ্জ্বল হোসেন।
সম্মেলনে উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে